ঢাবি থিয়েটার বিভাগ শুক্রবার মঞ্চায়ন করবে ‘দি আইসম্যান কমেথ’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ১০২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দিন থেকে থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগ মঞ্চে নিয়ে আসছে মার্কিন নাট্যকার ইউজিন ও’নিল রচিত নাটক ‘দি আইসম্যান কমেথ’। আগামী ১ জুলাই থেকে ৪ জুলাই পর্যন্ত প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটমণ্ডল মিলনায়তনে মঞ্চস্থ হবে নাটকটি।
বিভাগের তৃতীয় বর্ষ পঞ্চম সেমিস্টারের শিক্ষার্থীদের অভিনয়ে নাটকটির নির্দেশনা দিয়েছেন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তানভীর নাহিদ খান।
নাটকে নৈরাজ্যবাদী নেতা ল্যারি ভিল চরিত্রে অভিনয় করেছেন মহিউদ্দিন রনি, পানশালার মালিক হ্যারি হোপ চরিত্রে জাদিদ ইমতিয়াজ আহমেদ, সেলসম্যান হিকি চরিত্রে প্রাণকৃষ্ণ বণিক, বার টেন্ডার রকি চরিত্রে জয়া মারিয়া কস্তা ও বার সিঙ্গার চাক চরিত্রে ইফতি শাহরিয়ার রাইয়ান, হল্যান্ডের সাবেক জেনারেল ওয়েটজয়েন চরিত্রে মুজাহিদুল ইসলাম রিফাত, ক্যাপ্টেন লুইস চরিত্রে রিফাত জাহান শাওন, লেফটেন্যান্ট ম্যাকগ্লোয়েন চরিত্রে তরিকুল সরদার, ডোনা প্যারিট চরিত্রে মৌমিতা সরকার, সাবেক হার্ভার্ড শিক্ষার্থী উইলি চরিত্রে তাহিয়া তাসনিম মীম, টুমোরো আন্দোলননেতা জিমি টুমোরো চরিত্রে সালমান নূর, পতিতা চরিত্রে রিফাত করবী, দেবলীনা দেবী ও রিজভী সুলতানা এবং মানসিক বিকারগ্রস্ত মদ্যপ হুগো চরিত্রে অভিনয় করছেন মিরহাজুল শিবলী।
নাটকটির নেপথ্যে, মঞ্চ ও আলোক পরিকল্পনা এবং অভিনয় সৃজন রূপায়ণ করেছেন বিভাগের চেয়ারম্যান আশিকুর রহমান লিয়ন, দেহবিন্যাস করেছেন অমিত চৌধুরী, পোশাক পরিকল্পনায় কাজী তামান্না হক সিগমা ও আহম্মেদ রাউফুর রহিম।
এ ছাড়া নাটকে দ্রব্য পরিকল্পনা করেছেন বিভাগের শিক্ষক উম্মে সুমাইয়া মনি ও আহসান খান, সংগীত পরিকল্পনা করেছেন রুদ্র সাওজাল কাব্য, প্রক্ষেপণ ওবায়দুর রহমান সোহান এবং আলোক প্রক্ষেপণে শাহাবুদ্দিন মিয়া, পোস্টার ডিজাইনে দেবাশীষ কুমার দে।
নাটকে দেখা যাবে হ্যারি হোপের পানশালায় নানা পেশার, নানা দেশের মানুষ কিছু অবাস্তব স্বপ্ন নিয়ে বেঁচে থাকে। সেই পানশালার সবাই নিজের জীবনের ব্যর্থতা থেকে বেরিয়ে পুনরায় নতুন করে জীবন শুরু করতে চায় আগামীকাল থেকে। কিন্তু তাদের সেই আগামীকাল আর আসে না। চার অঙ্কের নাটকটি শেষ হয় সেলসম্যান হিকি কর্তৃক স্ত্রী হত্যার স্বীকৃতি উন্মোচন এবং পিতৃপরিচয় সংকটে ভোগা ডোনা প্যারিটের আত্মহত্যার মাধ্যমে।
নাটক প্রসঙ্গে নির্দেশক তানভীর নাহিদ খান বলেন, ‘সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতেও নাটকটি প্রাসঙ্গিক। বর্তমান সময়ে মহামারি, জলবায়ুর বিরূপ পরিস্থিতি, দুর্যোগের মাঝেও আগামীর স্বপ্ন দেখার মধ্যেই মানুষ বেঁচে থাকার প্রেরণা পায়।'
নাটকের অভিনয় পদ্ধতির বিষয়ে নির্দেশক বলেন, ‘বাস্তববাদী এই নাটকে নিবিড় অভিনয় প্রশিক্ষণের প্রতি মনোযোগ দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে এবং সব ধরনের অভিনয় ত্রুটি বিলোপের অভিপ্রায় নাট্যানুশীলনে চর্চিত হয়েছে।'
বিভাগের চেয়ারম্যান আশিকুর রহমান লিয়ন ‘এই আয়োজনের মাধ্যমে বিভাগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন করছে। আমার বিশ্বাস প্রাতিষ্ঠানিক নাট্যচর্চার এই ধারাবাহিক উদ্যোগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তথা বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ও নাট্য পরিমণ্ডলকে বিকশিত করবে।’
নাটকটি প্রদর্শনীর আগে নাটমণ্ডল প্রাঙ্গণ থেকে টিকেট সংগ্রহ করতে হবে।