ঢাবি মেডিকেলে করোনার চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ প্রভোস্ট কমিটির
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের করোনাভাইরাসের উপসর্গগুলো দেখা দিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে প্রভোস্ট কমিটি।
গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮টি হলের প্রাধ্যক্ষদের নিয়ে প্রভোস্ট কমিটির সভায় এই পরামর্শের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।
কমিটির সভায় করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ঢাবি পরিবারের সবাইকে সতর্ক ও সচেতন হওয়ার আহবান জানানো হয়।
বৃহস্পতিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ বিভাগ থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব হলের আবাসিক/অনাবাসিক শিক্ষার্থী এবং বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সবাইকে আতঙ্কিত না হয়ে সতর্ক ও সচেতন থাকার আহ্বান জানানো হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষার্থীর বা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের কোনো সদস্যের সর্দি-কাশি, জ্বর, গলাব্যথাসহ কোনো উপসর্গ দেখা দিলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্রের পরামর্শ ও চিকিৎসাসেবা গ্রহণের জন্য বলা হয়েছে। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান মেডিকেল অফিসার প্রচারিত লিফলেটের পরামর্শ অনুসরণ করতেও বলা হয়েছে।
এ ছাড়া সভায় কোনো শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারী বা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের কোনো সদস্য বিদেশ থেকে আসার পর স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে পৃথকীকরণ নীতি অনুসরণ করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।
এদিকে, ঢাবির এফ রহমান হলের প্রথম বর্ষের এক শিক্ষার্থীকে করোনাভাইরাস সন্দেহে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হলে চেকআপ করতে অস্বীকৃতি জানায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
রোগীর সঙ্গে থাকা তাঁর সহপাঠী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ‘গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে জ্বর নিয়ে ঢাকা মেডিকেলে গেলে দায়িত্বরত ডাক্তার ভীষণ জ্বর ও বমি দেখে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে করোনাভাইরাস চেকআপ করতে পাঠায়, কিন্তু আমরা সেখানে যাওয়ার পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলেন, কোনো রেফার করা রোগী আমরা দেখব না। সরাসরি আমাদের না বলে দেয় এবং আমাদের এক রকম বের করে দেয় হাসপাতাল থেকে। পরে আমরা রোগ নিয়ন্ত্রণ তথ্য কেন্দ্রে গেলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। আমরা নিরুপায় হয়ে আবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেলে ফিরে আসি।’
হল প্রভোস্ট অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি আমি শুনেছি। ওর জ্বর হয়েছে এবং বমি করে। অতিরিক্ত কিছু না।’ বিষয়টিকে ‘অকারণ উৎকণ্ঠা’ বলেও তিনি মন্তব্য করেন।