তিন সাংবাদিককে হুমকি : জবি’র স্থগিত শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি-সম্পাদকের বিরুদ্ধে জিডি
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীকে হুমকির ঘটনায় শাখা ছাত্রলীগের স্থগিত কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) হয়েছে। সাংবাদিকদের পক্ষে জিডিটি করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আরমান হাসান।
হুমকির মুখে যাঁরা আছেন, তাঁরা হলেন—বাংলাট্রিবিউনের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি আসসাইফ সুবর্ণ, রাইজিংবিডির বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি মেহেদী হাসান, বাংলাদেশ জার্নালের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি অনুপম মল্লিক আদিত্য।
জিডি থেকে জানা যায়, সাংবাদিকরা তাঁদের পেশাগত দায়িত্ব পালন করলে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের স্থগিত কমিটির সভাপতি ইব্রাহিম ফরাজী এবং সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসাইনের নির্দেশে তাদের কর্মীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হুমকি দিয়েছেন। একইসঙ্গে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেছেন।
ইব্রাহিম ফরাজির অনুসারী রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ১১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আব্দুল বারেক এবং সাধারণ সম্পাদকের অনুসারী একই ব্যাচের পরিসংখ্যান বিভাগের মিনুন মাহফুজ এসব হুমকিধামকি দিয়েছেন।
ভুক্তভোগী সাংবাদিক আসসাইফ সুবর্ণ বলেন, ‘আমি গণমাধ্যমকর্মী। পেশাগত দায়িত্ব পালন করায় জবি শাখা ছাত্রলীগের স্থগিত কমিটির সভাপতি সাধারণ সম্পাদকের মদদে সামাজিক মাধ্যমে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য ও হুমকি প্রদান করা হয়ছে, যা আমাকে সামাজিকভাবে হেয় করেছে।’
ভুক্তভোগী অপর সাংবাদিক মেহেদী হাসান বলেন, ‘নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করায় হুমকির শিকার হয়েছি। আমাকে ভবিষ্যতে দেখে নেওয়ারও হুমকি দেওয়া হয়েছে।’
অনুপম মল্লিক আদিত্য বলেন, ‘জবি ছাত্রলীগের কমিটির স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার হলে আমাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কর্মীরা।’
এবিষয়ে স্থগিত কমিটির সভাপতি ইব্রাহিম ফরাজী বলেন, ‘গতকালের নিউজ সত্য ছিল। তারপরও তারা কেন হুমকি দিয়েছে, তা আমি জানি না। তবে, যেহেতু ঘটনাটি ক্যাম্পাসের ভিতরের বিষয়, তাই এটি প্রশাসনের মাধ্যমে সমাধান হলে ভালো হয়।’
বিষয়টি নিয়ে জানতে স্থগিত কমিটির সাধারণ সম্পাদক এসএম আক্তার হোসাইনের সঙ্গে বার বার চেষ্টার পরও যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখে ব্যবস্থা নেব।’
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাবের সভাপতি মোস্তাকিম ফারুকী এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ, সাংবাদিকদের হুমকি ও করুচিপূর্ণ মন্তব্য করা রাষ্ট্রকে আঘাত করার শামিল। আমি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’
জানা যায়, এর আগেও অভিযুক্ত মিনুন মাহফুজ সাংবাদিকদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেছিল। যা পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসে মুচলেকা ও ক্ষমা চেয়ে বিষয়টি সমাধান করেন।