দেশে অর্থনৈতিক বৈষম্য বৃদ্ধি পাচ্ছে : পরিকল্পনামন্ত্রী
বাংলাদেশে বৃদ্ধি পাচ্ছে অর্থনৈতিক বৈষম্য। এটি আমাদের পীড়া দেয়। প্রধানমন্ত্রী বিষয়গুলো নিয়ে চিন্তিত বলে মন্তব্য করেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
আজ রোববার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) জহির রায়হান মিলনায়তনের সেমিনার কক্ষে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অ্যান্ড হিজ লিগ্যাসি’ শীর্ষক দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক কনফারেন্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘বৈষম্য দূরীকরণে আমাদের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল উৎপাদন। জমিতে ফসল হোক। তাই আমরা কৃষিতে মনোযোগ দিয়েছি। বাংলাদেশ বাজার অর্থনীতিতে প্রবেশ করেছে। বৈদেশিক বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেশ যত এগিয়ে যাবে বৈষম্য তত কমবে। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে উন্নয়নের কাতারে নিয়ে আসার জন্য সরকার নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।’
বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শ এবং তাঁর দর্শন এখন বহুমাত্রায় অনুশীলন হচ্ছে। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদূরপ্রসারী নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নশীল দেশের কাতারে যাওয়ার পথে অগ্রসর হচ্ছে। পঁচাত্তরের খুনিরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নকে ধ্বংস করতে চেয়েছিল। কিন্তু ধীরে ধীরে তাঁর স্বপ্ন কন্যার হাত ধরে বাস্তবায়িত হচ্ছে।’
তরুণদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, ‘শুধু নিজের প্রশংসা করলে হবে না। আমরা ব্যথা পাই যখন খেলার মাঠে ন্যাক্কারজনক ঘটনাগুলো ঘটে, আমরা ব্যথা পাই যখন হলি আর্টিজানের মতো ঘটনা ঘটে, ব্যথা পাই যখন ধর্মীয় উপাসনালয়ে আক্রমণ করা হয়।’
এর আগে আজ দুপুর ১২টার দিকে কনফারেন্সের উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম।
উদ্বোধনী বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সাধারণ মানুষের নেতা ছিলেন। মাটির সঙ্গে যাদের সম্পর্ক তিনি সব সময় তাদের কথা বলতেন। বঙ্গবন্ধুকে জানতে হলে তাঁর চিন্তা ও কর্মকে সাধারণের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে হবে। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে যত বেশি পাঠ করা হবে ততই বাঙালি ভেতর থেকে পরিবর্তিত হবে, মানুষ হবে। আমরা নারীরা মুজিব কোর্ট পরি না, কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে বুকে ধারণ করি।’
এ সময় প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. পবিত্র সরকার। স্বাগত বক্তব্য রাখেন দেন ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. এ টি এম আতিকুর রহমান। আরও বক্তব্য দেন ভারতের কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক প্রদীপ কুমার দাস, জাবির ইতিহাস বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মোজাহিদুল ইসলাম, বঙ্গবন্ধু তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড. শামীম রেজা প্রমুখ।
কনফারেন্সের টেকনিক্যাল সেশনে দেশ-বিদেশের শিক্ষক, গবেষকরা বঙ্গবন্ধুর ওপর তাদের গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।