নতুন পাঠ্যক্রমকে প্রত্যাখ্যান করে ঢাবি শিক্ষার্থীদের লালকার্ড সমাবেশ পণ্ড
রাজধানীর শাহবাগে পুলিশ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বাধায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে নতুন বছরের মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পাঠ্যক্ৰমে ইতিহাস বিকৃতি, সাম্প্রদায়িক উসকানিমূলক বিষয়বস্তু এবং ট্রান্সজেন্ডার প্রমোট করার প্রতিবাদে পাঠ্যক্রমকে প্রত্যাখ্যান করে আয়োজিত লালকার্ড সমাবেশ পণ্ড হওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
আজ মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে জাতীয় জাদুঘরের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এসময় পুলিশ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদেরকে অবস্থান নিতে দেখা যায়। এরপর কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের ভিডিও মন্তব্য নেওয়ার সময় কয়েকজন সংবাদকর্মীর মোবাইল ও ক্যামেরা বন্ধ করতে এবং তা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে ঢাবির জসিম উদ্দিন হল ছাত্রলীগের কিছু কর্মী।
ঘটনা প্রসঙ্গে এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘এখানে একটা সমাবেশ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তা শুরু হওয়ার আগেই পুলিশ তাদের ব্যানার নিয়ে যায় এবং সাউন্ড সিস্টেম নিয়ে চলে যেতে বলে। এরপর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা চলে আসার পর আর সমাবেশ হয়নি। সমাবেশের আয়োজকরা তারপর চলে যায়।’
কর্মসূচিতে অংশ নিতে আসা শিক্ষার্থী জামালুদ্দিন খালিদ বলেন, ‘আজকে আমাদের ১২টায় সমাবেশ ছিল। আমরা এখানে আসার পরে দেখলাম, পুরো জায়গাটা পুলিশ ঘিরে ছিল। যেহেতু পুলিশ থাকতেই পারে, উনারা আমাদের নিরাপত্তা দেবেন। এখানে আমাদের মাইক ও ব্যানার চলে আসতেই হুট করে পুলিশের একজন বড় কর্তা ব্যক্তি আমাদের ব্যানারটি ছিনিয়ে নেন এবং মাইকেও চলে যেতে বলেন। একটু পর আমাদের ছাত্রলীগের ভাইয়েরা এসে এখানে অবস্থান নিয়েছেন। যার কারণে আজ কর্মসূচি করার মতো কোনো পরিবেশ নেই আপাতত।’
ঘটনার বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত বলেন, ‘ওখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মিউজিক ডিপার্টমেন্ট আর চারুকলার শিক্ষার্থীরা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। ওখানে আমিও গিয়েছিলাম। ওখানে গিয়ে গান শোনলাম, আমিও গান গেয়ে আসলাম। কাউকে কিছুতে বাধা দেওয়া হয়নি।’
সংবাদকর্মীদের সংবাদ সংগ্রহে বাধা দেওয়ার ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘ফার্স্ট ইয়ারের কয়েকটা ছেলের সাথে একটু সমস্যা হয়েছিল। পরে আমি তাদেরকে আবার পাঠিয়ে বিষয়টি মীমাংসা করিয়েছি। কারণ, আমরা সবসময় সংবাদকর্মীদের সহযোগিতা করতে চাই।’
ব্যানার ছিনিয়ে নেওয়া বা সমাবেশ পণ্ড করার ব্যাপারে জানতে চাইলে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর মোহাম্মদ বলেন, ‘আমরা কারো ব্যানার নেইনি, কাউকে আটক করিনি এবং কাউকে বাধাও দেইনি।’