নড়াইলের সেই অধ্যক্ষ স্বপন কুমারকে ফুলের মালায় বরণ
নড়াইলের মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাস কলেজে ফিরেছেন। আজ বুধবার তাঁকে ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নিয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ ও এলাকাবাসী। এদিকে ধীরে ধীরে কলেজে আসতে শুরু করেছে শিক্ষার্থীরা, স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে কলেজের কার্যক্রম। গত ১৮ জুন কলেজ বন্ধ ঘোষণা করা হয়। কলেজ ক্যাম্পাসে এখনো পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
অধ্যক্ষকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়ার সময় নড়াইল-১ আসনের সংসদ সদস্য কবিরুল হক মুক্তি, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সুবাস চন্দ্র বোস, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট অচিন চক্রবর্তী, বিছালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হেমায়েত হোসেন ফারুকসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসকে জুতার মালা পরানোর পর বন্ধ কলেজ গত ২৪ জুলাই খোলা হয়। দীর্ঘ এক মাস পাঁচ দিন পর শুরু হয় কলেজের কার্যক্রম। কিছুদিন দ্বাদশ শ্রেণির শ্রেণিপাঠ কার্যক্রম চলানোর পর প্রথম বর্ষের ক্লাস চালু করা হয়।
মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজের সভাপতি অ্যাডভোকেট অচিন কুমার চক্রবর্তী জানান, গত ১৩ জুলাই বিকেলে কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সভা হয়েছে। সভায় ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাস উপস্থিত ছিলেন না। তার পরও ২০ জুলাই কলেজ খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। পরে সে সিদ্ধান্ত বাতিল হয়। পরে ২৪ জুলাই কলেজ খোলা হয়।
প্রসঙ্গত, মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজর প্রথম বর্ষের ছাত্র রাহুল দেব রায় গত ১৭ জুন ফেসবুকে ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) বহিষ্কৃত মুখপাত্র নূপুর শর্মার একটি ছবি দিয়ে তার সমর্থনে একটি পোস্ট দেন। পরের দিন ১৮ জুন রাহুল দেব রায় কলেজে গেলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাকে দেখে উত্তেজিত হয়ে উঠে। তাৎক্ষণিক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাস তাকে পুলিশে দেন। পুলিশ তাকে নিয়ে যেতে গেলে বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা বাধা দেয়। এরই মধ্যে কে বা কারা গুজব ছড়িয়ে দেয় ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ওই ছাত্রকে সমর্থন দিয়েছেন, তার কোনো বিচার করতে চান না। এমন গুজবে এলাকার সাধারণ মানুষ কলেজে এসে বিক্ষোভ করে। এমনকি কলেজে প্রশাসনের সামনেই শিক্ষক স্বপন কুমার বিশ্বাসকে জুতার মালা পরিয়ে অপদস্ত করে।