পরিবহণ ধর্মঘটের মধ্যেও বুয়েটে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
পরিবহণ ধর্মঘটের মধ্যেও অনুষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক শ্রেণিতে ভর্তির চূড়ান্ত পরীক্ষা। আজ শনিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত চূড়ান্ত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
এদিন ৯৯.০১ শতাংশ শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন বলে জানিয়েছে বুয়েট কর্তৃপক্ষ। মোট ভর্তি পরীক্ষার্থী ছিলেন ছয় হাজার জন। এর মধ্যে অংশ নেন পাঁচ হাজার ৯৫২ জন। শুধু ৫৬ জন শিক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে বুয়েটের ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমরা একটু দুশ্চিন্তার মধ্যে ছিলাম যে, গণপরিবহণ ধর্মঘটে উপস্থিতির হার কেমন হয়। তারপরও উপস্থিতির হারে আমরা সন্তুষ্ট। যদিও যারা দূর থেকে এসেছে, তাদের অনেক ভোগান্তি হয়েছে। তাদেরকে অনেক কষ্ট করে আসতে হয়ছে। বিষয়টি আসলে আমাদের হাতে ছিল না।’
ছাত্রকল্যাণ পরিচালক আরও বলেন, ধর্মঘট চললেও পরীক্ষা পেছানোর কোনো সুযোগ ছিল না। অনেক বিষয় বিবেচনায় নিয়ে আমরা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। ধর্মঘটের কারণে হয়ত শিক্ষার্থীদের আসতে কষ্ট হয়েছে, এ ছাড়া তেমন কোনো প্রভাব পড়েনি।
এদিকে, যথাসময়ে পরীক্ষায় অংশ নিতে পারলেও বেশ ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভর্তিচ্ছুরা। টানা দুইদিন ধর্মঘট থাকায় দূর-দূরান্ত থেকে আসা শিক্ষার্থীদের বেশি বিপাকে পড়তে হয়েছে। অনেকেই ভেঙে ঢাকায় পৌঁছেছেন। এ ছাড়া ঢাকা থেকে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরাও কার ভাড়া কিংবা তিন-চারগুণ রিকশা ভাড়া দিয়ে পৌঁছেছেন পরীক্ষা কেন্দ্রে।
খুলনা থেকে আসা রাফিয়া নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, ধর্মঘটের কারণে দুইদিন আগেই ঢাকায় আসতে হয়েছে। অনেক প্রচেষ্টার পর প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষা দিয়ে মূল পর্বে ছয় হাজারের মধ্যে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পেয়েছি। এটা যদি মিস হতো, তাহলে তাঁর ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার স্বপ্ন ধুলিস্যাৎ হয়ে যেত। এজন্য কষ্ট হলেও সময়মতো পরীক্ষার কেন্দ্রে উপস্থিত হতে হয়েছে।
এবারের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় প্রকৌশল, পুরকৌশল, যন্ত্রকৌশল, তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক কৌশল এবং স্থাপত্য ও পরিকল্পনা অনুষদগুলোর অধীনে ১২টি বিভাগে স্নাতক শ্রেণিতে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি করা হবে। স্নাতক শ্রেণিতে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি করাতে গত ২০ ও ২১ অক্টোবর মহামারি পরিস্থিতি বিবেচনায় চার শিফটে ভাগ করে প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষা নেওয়া হয়। সেখানে সর্বোচ্চ নম্বরপ্রাপ্ত ছয় হাজার পরীক্ষার্থীকে চূড়ান্ত পর্বের পরীক্ষার জন্য বাছাই করা হয়। চূড়ান্ত পর্বে সর্বোচ্চ নম্বর প্রাপ্ত এক হাজার ২১৫ জনকে বুয়েটের ১২টি বিভাগে ভর্তি হওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে। এ ছাড়া দুপুর ২টায় স্থাপত্য বিভাগের ভর্তি পরীক্ষাও যথা সময়ে অনুষ্ঠিত হয় বলে জানা যায়।