পাবনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির বিচার দাবিতে বিক্ষোভ, কুশপুতুল দাহ
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) ভিসি প্রফেসর ড. এম রোস্তম আলীর বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও কুশপুতুল পুড়িয়েছে শিক্ষার্থী ও কর্মচারীরা। আজ বুধবার দুপুর ১টায় পাবিপ্রবি ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ শেষে ভিসির কুশপুতুল দাহ করে তারা।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে, পাবিপ্রবির ভিসি প্রফেসর ড. এম রোস্তম আলীর মেয়াদ আগামী শেষ হচ্ছে ৬ মার্চ। বিদায় বেলা ভাতিজি কানিজ ফাতেমা, ভাগনে হাসিবুর রহমান, ভাতিজা মীর রমজানসহ এক ডজন আত্মীয়কে নিয়োগ দেওয়াসহ ১০২ জনকে গণনিয়োগ দিয়ে অনিয়ম ও দুর্নীতি করেছেন। এসব অবৈধ নিয়োগ বাতিলসহ গণনিয়োগ বন্ধের দাবি জানান তারা।
এ ছাড়া উন্নয়ন প্রকল্পের কমিশন, ভুয়া ভাউচার করে টাকা লোপাট, ১০ কোটি টাকার বই কেনায় হরিলুটসহ উপাচার্যের বিরুদ্ধে নানা অপকর্মের অভিযোগ এনে তার তদন্ত দাবি করে শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সেশনজট মারাত্মক আকার ধারণ করেছে উল্লেখ করে সেশনজটমুক্ত ক্যাম্পাসের দাবি করে শিক্ষার্থীরা। বিক্ষোভ শেষে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কুশপুতুল দাহ করে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রিয়াজ আল আমিন বলেন, স্বজনপ্রীতি ও দুর্নীতির মাধ্যমে উপাচার্য এম রোস্তম আলী তার ভাতিজি কানিজ ফাতেমাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সেকশন অফিসার পদে চাকরি দিয়েছেন। এমনকি নিয়োগ প্রক্রিয়া চূড়ান্ত হওয়ার আগেই তাকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বাড়ি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এর আগে ২০১৯ সালের ২৪ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস ও বাংলাদেশ স্টাডিজ বিভাগে প্রভাষক পদে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। উত্তীর্ণদের তালিকা থেকে বাদ পড়েন কুমিল্লা সদরের কৃষ্ণনগর গ্রামের মনিরুল ইসলাম। ওই দিনই ক্ষিপ্ত হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ভবনের সামনে গিয়ে উপাচার্যের পথরোধ করেন তিনি। তিনি চাকরির জন্য উপাচার্যকে ঘুষ দিয়েছেন দাবি করে সেই টাকা ফেরত চান। এ সংক্রান্ত একটি অডিও রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। পরে ২০২১ সালের ২৭ অক্টোবর নিয়োগটি বাতিল হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. এম আব্দুল আলীম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে—তার জন্য দায়ী ভিসি। ছাত্ররা যে আন্দোলন করছে তার যৌক্তিকতা রয়েছে।
পাবিপ্রবির রেজিস্ট্রার বিজন কুমার ব্রহ্ম বলেন, ভিসি স্যার পাবনার বাইরে আছেন। পাঁচ দিন ধরে রেজিস্ট্রার অফিস তালাবদ্ধ রয়েছে।
এ বিষয়ে উপাচার্য প্রফেসর ড. এম রোস্তম আলীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। অন্য সূত্র মারফত যোগাযোগ করা হলে কথা বলতে রাজি হননি তিনি।