পাসের হারে শীর্ষে ময়মনসিংহ, জিপিএ-৫ এ শীর্ষে ঢাকা
নভেল করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় এবার পাসের হারে শীর্ষে রয়েছে ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডের শিক্ষার্থীরা। তবে এবারও জিপিএ-৫ এর দিক থেকে সবার ওপরে রয়েছে ঢাকা বোর্ডের শিক্ষার্থীরা।
বোর্ডগুলোর ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ময়মনসিংহ বোর্ডে পাসের হার সবচেয়ে বেশি। এখানে ৯৭ দশমিক ৫২ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে। আর সবচেয়ে কম পাশের হার বরিশাল বোর্ডে, ৯০ দশমিক ১৯ শতাংশ।
গতবছর পাশের হারে পিছিয়ে থাকা সিলেট বোর্ড এবার দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে ৯৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ পাসের হার নিয়ে। এরপরই রয়েছে কুমিল্লা বোর্ড, তাদের পাসের হার ৯৬ দশমিক ২৭ শতাংশ।
এর আগে টানা আটবার পাসের হারে শীর্ষ ছিল রাজশাহী শিক্ষাবোর্ড। এবার এ বোর্ডের ৯৪ দশমিক ৭১ শতাংশ পরীক্ষার্থী পাস করেছে।
প্রতিবারের মতো এবারও জিপিএ-৫ এ সবার উপরে রয়েছে ঢাকা বোর্ডের শিক্ষার্থীরা, এ শিক্ষা বোর্ডের ৪৯ হাজার ৫৩০ জন শিক্ষার্থী পূর্ণ জিপিএ পেয়েছে।
২০০১ সালে এসএসসিতে গ্রেডিং পদ্ধতি চালুর পর থেকেই এই স্থানটি ধরে রেখেছে ঢাকার শিক্ষার্থীরা।
সবচেয়ে কম জিপিএ-৫ পেয়েছে সিলেট বোর্ড। এই বোর্ডের চার হাজার ৮৩৪ জন শিক্ষার্থী এবার জিপিএ-৫ পেয়েছে।
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এ বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফলের বিস্তারিত তুলে ধরেন।
চলতি বছর এসএসসি পরীক্ষায় পাসের হার ৯৩ দশমিক ৫৮ শতাংশ, জিপিএ পেয়েছে এক লাখ ৮৩ হাজার ৩৪০ জন।
গত বছর এসএসসি পরীক্ষায় পাসের হার ছিল ৮২ দশমিক ৮৭ শতাংশ, জিপিএ-৫ পেয়েছিল এক লাখ ৩৫ হাজার ৮৯৮ জন। সে হিসেবে এবার পাশের হার ও জিপিএ-৫ দুটিই বেড়েছে।
করোনাভাইরাস মহামারির কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় এবার নয় মাস পিছিয়ে গত ১৪ নভেম্বর এসএসসি পরীক্ষা শুরু হয়। সব বোর্ড মিলিয়ে এ বছর ২২ লাখ ৪০ হাজার ৩৯৫ জন শিক্ষার্থী মাধ্যমিকে অংশ নেয়।
এবার সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে তিনটি নৈর্বাচনিক বিষয়ে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। বাংলা, ইংরেজির মতো আবশ্যিক বিষয়গুলোতে পরীক্ষা না নিয়ে আগের পাবলিক পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে মূল্যায়ন করা হয়েছে পরীক্ষার্থীদের।
শিক্ষামন্ত্রী এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে জানান, এবার তিনটি নৈর্বাচনিক বিষয়ে পরীক্ষা নেওয়া হলেও অন্যান্য বিষয়গুলোতে জেএসসি ও জেডিসি ফলাফলের ভিত্তিতে ফলাফল দেওয়া হয়েছে।