পুরোনো দাবিতেই নতুন করে চলছে শাবিপ্রবির আন্দোলন
ভাষা পরিবর্তন করে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। উপাচার্যের বাসভবনের সামনের অনশনস্থলেই গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে আঁকা হয়েছে আল্পনা। নাম দেওয়া হয়েছে-‘মৃত্যু অথবা মুক্তি’। এ ছাড়াও বিভিন্ন জায়গায় প্রতিবাদী আল্পনা আঁকছেন তাঁরা। আন্দোলনের অংশ হিসেবে বিভিন্ন সময় ক্যাম্পাসের মুক্তমঞ্চে চলছে মুক্ত আলোচনা। সেখানে শাবিপ্রবির বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরে উপাচার্যের পদত্যাগের পর শাবিপ্রবি পুনর্গঠনে দাবি জানাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।
এদিকে আজ শুক্রবার বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে অনশন ও পুলিশের হামলায় আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ধন্যবাদ দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। অন্যদিকে দাবি পূরণের জন্য তাঁদের সঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি আলোচনায় বসার ইচ্ছে প্রকাশ করায় তাঁকে ক্যাম্পাসে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিরা।
শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘আমরা আমাদের আন্দোলনের ভাষা পরিবর্তন করেছি। আন্দোলনের অংশ হিসেবে প্রতিদিন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও রোড পেইন্টিং কর্মসূচি হবে। আমাদের দাবি আদায়ের আগ পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।’
সংবাদ সম্মেলনে শাওন আহমেদ, মোহাইমিনুল বাশার রাজ, রকিবুল ইসলামসহ আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
গত ১৬ জানুয়ারি পুলিশের হামলায় আহত ও অনশনরত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার ব্যবস্থা নেওয়ায় শবিপ্রবির আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, ‘রাগিব রাবেয়া হাসপাতালে শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার খরচ প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সরকারিভাবে পরিশোধ করা হয়েছে। পুলিশের হামলায় আহত সজল কুণ্ডুকে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এজন্য আমরা প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।’
আন্দোলনকারীদের একজন মুখপাত্র ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘সরকারের নির্দেশনায় শিক্ষামন্ত্রী আমাদের মূল দাবিসহ অন্যান্য দবি পূরণের আশ্বাস দিয়েছেন। গতকাল সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী শাবিপ্রবিতে এসে আলোচনার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। এ জন্য আমাদের পক্ষ থেকে শিক্ষামন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই।’ তিনি বলেন, ‘আমরাও আলোচনা করতে চাই। আমরা মন্ত্রীকে শাবিপ্রবিতে আসার আহবান জানাচ্ছি। আশা করি, তিনি দ্রুতই ক্যম্পাসে এসে আমাদের সঙ্গে আলোচনা করবেন।’