প্রকৃতির সাজে জবিতে হবে বাংলা বর্ষবরণ
তিন দিন বাদেই বাংলা নববর্ষ। ১৪২৯-কে বরণ করে নিতে শুরু হয়েছে প্রস্তুতি। থেমে নেই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি)। বাংলা বর্ষকে বরণ করে নিতে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে এবারের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘প্রকৃতি’। পহেলা বৈশাখে প্রকৃতির সাজেই তাঁরা এবার প্রকৃতিকে করবেন বরণ।
করোনায় বন্ধের পর এবার মঙ্গল শোভাযাত্রাকে সামনে রেখে সেখানে সকাল থেকে রাত অবধি বিশ্ববিদ্যালয়টিতে চলছে পাখি, মাছ, ফুল, মুখোশ বানানোর কাজ। কাজের সমন্বয় করছে বর্ষবরণ প্রস্তুতি কমিটি ও চারুকলা বিভাগ।
চারুকলা বিভাগের চেয়ারম্যান বজরুল রশিদ খান বলেন, ‘করোনার কারণে বিগত বছরের পহেলা বৈশাখ পালন করতে পারিনি। এখন করোনার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আসার কারণে আমাদের প্রকৃতিতে স্বস্তি ফিরে এসেছে। এবার আমরা প্রকৃতিকে উদ্যাপন করব। আর এ জন্য আমাদের এবাবের প্রতিপাদ্য প্রকৃতি। ক্লাস, পরীক্ষা ও রোজার কারণে বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা থাকার পরও আমাদের বিভাগের সব শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা কাজ করতে উচ্ছ্বসিত।’
জবি সূত্র বলছে, এবার বর্ষবরণের আয়োজনে থাকছে মঙ্গল শোভাযাত্রা, থাকবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও বাংলা বর্ষবরণের নানা আয়োজন। পহেলা বৈশাখে সকাল সাড়ে ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ থেকে মঙ্গল শোভাযাত্রা শুরু হবে৷ রায়সাহেব বাজার মোড় থেকে ঘুরে শোভাযাত্রাটি ক্যাম্পাসে এসে শেষ হবে। মঙ্গল শোভাযাত্রা শেষে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের মুজিবমঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে জোহরের নামাজের বিরতি থাকবে।
এর আগে সবশেষ বাংলা নববর্ষ-১৪২৬ সালে মঙ্গল শোভাযাত্রার আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বাংলা নববর্ষ-১৪২৭ করোনাভাইরাস মহামারির কারণে মঙ্গল শোভাযাত্রাসহ সব অনুষ্ঠান স্থগিত করেছিল কর্তৃপক্ষ। এরপর ভার্চুয়ালি বাংলা নববর্ষ-১৪২৮ পালন করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। দুই বছর পর এবার ১৪ এপ্রিল হবে মঙ্গল শোভাযাত্রা।
মঙ্গল শোভাযাত্রায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৬টি বিভাগ ও ২টি ইন্সটিটিউট অংশগ্রহণ করবে।
করোনার আগে প্রতি বছর শোভাযাত্রায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগসমূহের পাশাপাশি পুরান ঢাকার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ব্যবসায়ী সংগঠন, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনসমূহকে অংশগ্রহণ করতে দেখা গেছে।