বহিরাগতরা ক্যাম্পাসে ঘুরতে এসে অনৈতিক কাজে জড়াচ্ছে : রাবি উপাচার্য
ক্যাম্পাসে ঘুরতে এসে বহিরাগতরা অনৈতিক কাজে জড়িয়ে পড়ছে মন্তব্য করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেছেন, আগামীকাল থেকে ক্লাস-পরীক্ষা সবকিছু স্বাভাবিকভাবে চলবে। তবে আমরা আজ থেকে বহিরাগতদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে যাব। সন্ধ্যার পর বহিরাগতদের ক্যাম্পাসে অবস্থান করতে দিব না।
আজ সোমবার (১৩ মার্চ) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রশাসন ভবনে সাংবাদিকদের উপাচার্য এসব কথা বলেন।
রাবি উপাচার্য বলেন, আমরা দেখছি বর্তমানে ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের দৌরাত্ম্য বেড়ে গেছে। এটা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। আমরা চাই এখানে বাইরের মানুষ আসুক, সৌন্দর্য উপভোগ করুক। কিন্তু সৌন্দর্য উপভোগ করতে এসে তারা বিভিন্ন অনৈতিক কাজের সাথে জড়িয়ে পড়ছে এবং শিক্ষার্থীদের বিভিন্নভাবে হেনস্তা করছে। আমরা আজ থেকে বহিরাগতদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে যাব। সন্ধ্যার পর বহিরাগতদের ক্যাম্পাসে অবস্থান করতে দিব না।
অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার আরও বলেন, কতজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে, ছাত্রদের ওপর কেন গুলিবর্ষণ করা হলো সবকিছু খতিয়ে দেখার জন্য পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে প্রশাসন। সাত দিনের ভেতরে তাদেরকে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। এছাড়া আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার সব খরচ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহন করা হবে। কারও যদি উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন পড়ে তাদেরকে ঢাকায় পাঠানো হবে।
রাবি উপাচার্য আরও বলেন, আগামীকাল রাজশাহী মেস মালিক সমিতি এবং গণ্যমান্য যারা আছেন তাদের সাথে বসবো। আমার ছাত্ররা আছে বলেই তাদের ব্যবসা চলছে। তাদের কাছে অনুরোধ করব, তারা যেন ছাত্রদের প্রতি সহমর্মী হয়। উদ্ভুত পরিস্থিতির কারণে দুইদিন ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ রাখা হয়। আগামীকাল থেকে আবার সবকিছু স্বাভাবিকভাবে চলবে। এছাড়া ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে রেজিস্ট্রার বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ৫০০ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করা হয়। এই মামলায় আসামিদের ধরাও শুরু হয়েছে।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম ও অধ্যাপক হুমায়ুন কবীর, প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক, জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক প্রদীপ কুমার পাণ্ডে, সামাজিকবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ইলিয়াছ হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে স্থানীয় ও শিক্ষার্থীদের সংঘাতের ঘটনায় আজ সোমবার সকাল থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে শিক্ষার্থীদেরকে কোনো আন্দোলন করতে দেখা যায়নি। জানা যায়, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আশ্বাস দেওয়ায় তারা সাময়িক আন্দোলন থেকে সরে আসেন। তবে দ্রুত সময়ে দাবি আদায় না হলে শিক্ষার্থীরা পুনরায় আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দেন।