মানবিক দর্শন থেকে শিক্ষাকে প্রসারিত করতে হবে : সেলিনা হোসেন
প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক ও বাংলা একাডেমির সভাপতি সেলিনা হোসেন বলেছেন, ‘শুধু বই পড়ে নয়, মানবিক দর্শন থেকে শিক্ষাকে প্রসারিত করতে হবে। প্রতিটি মানুষের প্রজ্ঞার জায়গা থাকা উচিত। সমাজের সবার জন্য একটা দৃষ্টান্ত তৈরি করতে হবে। তাহলেই সামাজিক মূল্যবোধ ঠিক থাকবে। নইলে সুন্দর সমাজটা ঘৃণার জায়গায় পরিণত হবে।’
আজ বৃহস্পতিবার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) আবৃত্তি সংগঠন ধ্বনি আয়োজিত গুণীজন সম্মাননা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
এ বছর আবৃত্তি সংগঠন ধ্বনির ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত রজতজয়ন্তী আবৃত্তি উৎসবে সেলিনা হোসেনকে গুণীজন সম্মাননা দেওয়া হয়৷
এ সময় সেলিনা হোসেন বলেন, ‘আমি ছোটবড় মিলিয়ে ১২৫টি বই লিখেছি। আমার লেখাগুলো দেশে ও পশ্চিমবঙ্গে অন্তত ১১টি বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। দেশে আমার রচনার ওপর ১৩টি পিএইচডি হয়েছে। আমার লেখাগুলো তরুণদের কাছে যাচ্ছে। এক জীবনে এটাই সবচেয়ে বড় পাওয়া।’
ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক আহমেদ রেজা বলেন, ‘সেলিনা হোসেন তার লেখনীর মাধ্যমে দেশে-বিদেশে সমানভাবে জনপ্রিয়। তাঁর খ্যাতি শুধু একজন ঔপন্যাসিক হিসেবে নয়। তিনি একজন লড়াকু মানুষ। তাঁর কথা ও লেখনীতে তরুণরা অনুপ্রাণিত হন, দীক্ষিত হন।’
দর্শন বিভাগের অধ্যাপক রায়হান রাইন বলেন, ‘সেলিনা হোসেন এমন একজন মানুষ যার কাজকে অল্প কথায় তুলে আনা যায় না। আমাদের বেড়ে ওঠার সঙ্গে তাঁর উপন্যাস জড়িত। তাঁর নীল ময়ুরের যৌবন পড়ে আমরা পড়তে শিখেছি। তাকে গুণীজন সম্মাননা দেওয়া আমাদের জন্য খুবই আনন্দের।’
এসময় দর্শন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. আনওয়ারুল্লাহ ভূঁইয়া, ধ্বনির আবৃত্তি শিল্পী ও বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।