রাবিতে ভেটেরিনারি বিভাগে ভাঙচুরের অভিযোগ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিভাগের সভাপতির সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ ও কক্ষে ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে এক সহকারী প্রক্টরের বিরুদ্ধে। আজ মঙ্গলবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদ ভবনে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় আজ বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ওই বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ইসমত আরা বেগম। অভিযুক্ত সহকারী প্রক্টর একই বিভাগের শিক্ষক সহযোগী অধ্যাপক ড. হাকিমুল হক।
অভিযোগ থেকে যায়, আজ মঙ্গলবার সকাল সোয়া ৯টার দিকে সভাপতির কক্ষে তার একটি চিঠি স্বাক্ষরের জন্য আসেন। পরে তাকে আগের ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণের জন্য দুঃখ প্রকাশ করতে বলা হয়। পরে তিনি দুঃখ প্রকাশ না করে চিঠি সইয়ের জন্য হুমকি দেন। অকথ্য ভাষা ব্যবহার করেন। একপর্যায়ে টেবিলের গ্লাস ভেঙে ফেলেন।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিভাগের সভাপতি ইসমত আরা বেগম বলেন, ‘হাকিমুল হক অস্ট্রেলিয়া থেকে পিএইচডি করার পর সেখানেই অভিবাসী হতে চাচ্ছিলেন। সেখানে যাওয়া-আসা করতে তাঁর নির্ধারিত ছুটি শেষ হয়ে যায়। তখন তিনি আমার কার্যালয়ে একটি ওয়ার্ড ফাইলে একটি ছুটির আবেদনপত্র পাঠান। কিন্তু, সেখানে তার সই না থাকায় আমি ছুটি মঞ্জুর করিনি। তখন তিনি আমাকে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেন। আজ একটি গবেষণা প্রজেক্টে বরাদ্দ পাওয়ার জন্য রেজিস্ট্রার বরাবর আবেদন নিয়ে আসেন এবং আমার সুপারিশ চান। তখন আমি তাঁকে পূর্বের আচরণের জন্য দুঃখ প্রকাশ করতে বলি, না হলে সই দিতে অস্বীকৃতি জানাই। তখন রেগে গিয়ে আমার টেবিলের গ্লাস ভাঙচুর করেন এবং অশ্রাব্য ভাষায় কথা বলেন।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সহযোগী অধ্যাপক হাকিমুল হক বলেন, ‘আমার একটি গবেষণা প্রজেক্ট সাবমিশনের শেষ সময় আগামীকাল বুধবার। আজ সকালে বিভাগের সভাপতির কাছে সুপারিশ নিতে গেলে তিনি পূর্বের কোনো ঘটনার জেরে আমার প্রজেক্টটি সই করেননি। এতে স্বাভাবিকভাবেই আমি রেগে যাই। টেবিলের ওপরের ওই গ্লাসটা এতোই পাতলা ছিল যে, আমার হাতের চাপ লেগে সেটা ভেঙে যায়। সেখানে ভাঙচুরের কোনো ঘটনা ঘটেনি।’
এ বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তারের সঙ্গে মুঠোফোনে চেষ্টা করলে যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।