রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) মৃৎশিল্প ও ভাষ্কর্য বিভাগের আয়োজনে তিন দিনব্যাপী বার্ষিক শিল্পকর্ম প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার শুরু হওয়া প্রদর্শনী চলবে আগামী ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত। চারুকলা অনুষদ প্রাঙ্গণে এই প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন স্থপতি ময়নুল আবেদিন।

আয়োজকরা জানান, বিভাগের মোট ৬১ শিক্ষার্থীর ৭১টি শিল্পকর্ম এই প্রদর্শনীতে দেখানো হচ্ছে। শিল্পকর্মগুলো কাঠ, পাথর, সিমেন্ট, মোম ও ফাইবার গ্লাস দিয়ে তৈরি। এ ছাড়া কিছু স্ক্রেচও রয়েছে। সারা বছর অ্যাকাডেমিক ও ব্যক্তিগতভাবে শিক্ষার্থীরা এই শিল্পকর্মগুলোর কাজ করেছেন।

প্রদর্শনীর শুরুতে অতিথিদের ফুল দিয়ে বরণ করার পর দেশাত্মবোধক গান ও রবীন্দ্র সঙ্গীতে নৃত্য পরিবেশন করেন মৃৎশিল্প ও ভাস্কর্য বিভাগের শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়া বিভাগের ১০ শিক্ষার্থীকে অ্যাকাডেমিক সাফল্যের জন্য তাদের হাতে ক্রেস্ট ও সনদ তুলে দেওয়া হয়।

পুরষ্কারপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা হলেন—হাজেরা খাতুন মিষ্টি (মৃৎশিল্প), হৃদয় কুমার সূত্রধর (ভাস্কর্য), নিশাত তাসনিম (মৃৎশিল্প), তামান্না ইয়াসমিন (ভাস্কর্য), আয়েশা আক্তার আঁখি (মৃৎশিল্প), অমিত ভট্টাচার্য (ভাস্কর্য),  নাশির আলম (মৃৎশিল্প), ফারহানা তাসনীম মিম (মৃৎশিল্প), রাজিয়া সুলতানা (মৃৎশিল্প)।

এ ছাড়া বনিজুল হক স্মৃতি পুরষ্কার পেয়েছেন তানভীর আহমেদ জয় (মৃৎশিল্প) ও সায়েমা ফেরদৌস সিফা (মৃৎশিল্প)।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেন, ‘চারুকলার শিল্পের মধ্যে আমরা নিজেদের ইতিহাস ও ঐতিহ্য খুঁজে পাই। আমাদের দরকার একটা শক্ত পাটাতন। আমাদের এই জায়গাটা ধরে রাখতে হবে, যাতে পরবর্তীতে শিক্ষার্থীরা এই ইতিহাস ঐতিহ্য ধরে রাখতে আগ্রহ খুঁজে পায়।’

প্রদর্শনীর উদ্বোধন করে স্থপিত ময়নুল আবেদিন বলেন, ‘ভালো শিল্পী হতে হলে ভালো মনের মানুষ হতে হবে। তাহলে মানুষের কাছ থেকে ভালো প্রতিদান পাওয়া যাবে। আশা করি, শিক্ষার্থীরা আরও ভালো কাজ করবে।’

মৃৎশিল্প ও ভাস্কর্য বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক নূরুল আমীনের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সুলতান-উল-ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ ওবায়দুর রহমান প্রামাণিক, চারুকলা অনুষদের অধিকর্তা অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী প্রমুখ।