রাবি ছাত্রীদের আন্দোলনে সান্ধ্য আইন ‘শিথিল’
‘সান্ধ্য আইন মানি না, মানব না’, ‘হলের পঁচা খাবার খাব না, খাব না’ ইত্যাদি স্লোগানে আন্দোলন করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ছাত্রীরা। আন্দোলনের মুখে সান্ধ্য আইন ‘শিথিল’ করার ঘোষণা দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর লিয়াকত আলী।
আজ শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের তাপসী রাবেয়া হলের সামনে ওই হলের ছাত্রীরা এ আন্দোলন করেন৷
ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, মেয়েদের আবাসিক হলে প্রবেশের ক্ষেত্রে সান্ধ্য আইন বাতিলের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীরা। এ ছাড়া মেয়েদের হলের ডাইনিংয়ে বাধ্যতামূলক খাবার খাওয়ার নির্দেশনা বাতিলের দাবিও জানিয়েছেন তারা।
আন্দোলনের এক পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এসে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নিলে তারা হলে প্রবেশ করেন। এর আগে ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে প্রক্টর বলেন, ‘এখন থেকে ছাত্রীরা আগের মতো নিজেরা রান্না করে খেতে পারবেন। ছাত্রীদের বিশেষ কোনো কাজ থাকলে রাত ৮টার পরেও হলে ঢুকতে এবং প্রবেশ করতে পারবেন৷’
আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, হল প্রশাসন সম্প্রতি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে তাদের ডাইনিংয়ের খাবার খেতে বাধ্য করছে। এছাড়া নিজ নিজ কক্ষে রান্নার ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে হল প্রশাসন। অন্যথায় তাদের সিট বাতিল করা হবে। ডাইনিংয়ে দাম বেশি নিয়েও মানসম্মত খাবার পরিবেশন করা হয় না বলেও অভিযোগ তাদের।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে ওই হলের এক আবাসিক ছাত্রী বলেন, ‘হল প্রাধ্যক্ষ গত মাসে নোটিশ দিয়ে জানান, মেয়েদের ডাইনিংয়ের খাবার বাধ্যতামূলক খেতে হবে। অন্যথায় সিট বাতিল করা হবে। খাবারের দাম কমানো হবে কিছুদিনের মধ্যে। কিন্তু দাম কমানো হয়নি, খাবারের মানও খারাপ। তাই আমরা আন্দোলন করেছি।’