রাবি শিক্ষার্থীকে মারধর ও প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শাহ মখদুম হলের আবাসিক শিক্ষার্থী মো. সামিউল ইসলামকে মারধর করে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে একই হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি তাজবিউল হাসান অপূর্বের বিরুদ্ধে। আজ শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) সকালে ভুক্তভোগী সামিউল ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা এম তারেক নূর বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
জানা গেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ মখদুম (এসএম) হলে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী সামিউল বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকলোর বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। লিখিত অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, ‘গতকাল রাতে হল সভাপতি অপূর্ব তাঁর অনুসারীদের নিয়ে আমার কক্ষে প্রবেশ করে ১০ হাজার টাকা দাবি করেন। তাৎক্ষণিক সেই টাকা দেওয়ার জন্য চাপ দেন। একপর্যায়ে আমার মানিব্যাগে থেকে জোর করে তিন হাজার ৭৭৫ টাকা ছিনিয়ে নেন। এই সিটে থাকতে হলে আজকেই বাকি টাকা ম্যানেজ করে দিতে হবে বলে হুমকি দেন।’
সামিউল আরও বলেন, ‘টাকা দিতে না পারায় আমার মা-বাবা তুলে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন। একপর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে আমার গায়ে হাত তোলেন। এরপর অপূর্বের অনুসারীরা আমাকে মেঝেতে ফেলে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি মারতে থাকেন। যাওয়ার আগে শুক্রবারের মধ্যে বাকি টাকা দিতে না পারলে দুপুরের মধ্যে হল থেকে চলে যেতে বলেন।’
অভিযোগপত্রে সামিউল আরও উল্লেখ করেন, ‘ঘটনার বিষয়ে কাউকে জানালে আমার লাশ পরিবারও খুঁজে পাবে না বলে হুমকি দেন তারা। আগেও এই কক্ষে থাকার জন্য আমার কাছ থেকে তিন হাজার টাকা নিয়েছিলেন।’
এদিকে অভিযোগের বিষয়ে অস্বীকার করে তাজবিউল হাসান অপূর্ব বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ এসেছে, এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। আমাকে রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য প্রতিপক্ষরা এসব মিথ্যা অভিযোগ ছড়াচ্ছে।’
এ বিষয়ে শাহ মখদুম হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক রুহুল আমিন বলেন, ‘আমরা দুইপক্ষকে ডেকে তদন্ত শুরু করেছি। আশা করছি তদন্তের মধ্য দিয়ে মূল ঘটনা বেড়িয়ে আসবে। আর তখন আমরা দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’