শতবর্ষের মিলনমেলায় ঢাবির সাবেক শিক্ষার্থীরা
বর্ণাঢ্য আয়োজনে সাজানো হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ। সকাল থেকে সে মাঠে প্রবেশ করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীরা। কেউ দলে দলে, আবার কেউ আসছেন পরিবার নিয়ে। কেননা দিনটি ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীদের মিলনমেলা।
আজ শনিবার সকাল ১০টায় এ মিলনমেলার উদ্বোধন হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে মিলনমেলার উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবীণতম শিক্ষার্থী মতিউল ইসলাম ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রসাশন) ড. মুহাম্মদ সামাদ, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক এ কে এম মাকসুদ কামাল, বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যালামনা অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এ কে আজাদ, মহাসচিব রঞ্জন কর্মকারসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সদস্যেরা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় শতবর্ষের মিলনমেলা উপলক্ষ্যে সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে প্রকাশিত গ্রন্থগুলোর মোড়ক উন্মোচন ও ঢাবির ১০০ শিল্পীর ১০০ ছবিতে চিত্র প্রদর্শনী উদ্বোধন হয়।
দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে ‘বাংলাদেশের পদযাত্রায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান পালন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী।
বিকেল সাড়ে ৩টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০০ জন গুণীজনকে মরণোত্তর সম্মাননা প্রদান করা হবে। এরপর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শেষ হবে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে শিল্পী সাবিনা ইয়াসমিন সংগীত পরিবেশন করবেন।
এর আগে মিলনমেলা উপলক্ষ্যে করা এক সংবাদ সম্মেলনে অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এ কে আজাদ বলেন, ‘শতবর্ষে বিশ্ববিদ্যালয় যেখানে পৌঁছানোর কথা ছিল, সেখানে আসতে পারেনি। আমরা দেখেছি—বিশ্বের এক হাজার বিশ্ববিদ্যালয়ের র্যাংকিংয়ে আমাদের ঢাবি নেই। বিশ্ববিদ্যালয়কে ১০০ র্যাংকিংয়ের ভেতরে আনতে আমাদের সংগঠন কাজ করছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বাড়লেও সেগুলোর ধারণক্ষমতা ও সক্ষমতা বাড়েনি। তা ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬০-৭০ শতাংশ শিক্ষার্থী অর্থাভাবে যথাযথভাবে তাদের শিক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে পারে না। অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন তাদের জন্য কাজ করবে।’
এ কে আজাদ আরও বলেন, ‘আমরা বছরে সাড়ে তিন কোটি থেকে চার কোটি টাকা বৃত্তি প্রদান করি। বিশ্ববিদ্যালয়ের রিসার্চের জন্য যে বাজেট প্রয়োজন, সে পরিমাণ বাজেট সরকার থেকে আসছে না। আমরা সেখানে অনুদান দিতে চাই।’