শাবিপ্রবির ঘটনায় পুলিশের মামলা : আসামি ৩০০, আন্দোলন অব্যাহত
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদকে উদ্ধারের সময় হামলার অভিযোগে তিনশ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ। মামলায় কারও নাম উল্লেখ করা হয়নি। পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আব্দুল হান্নান বাদী হয়ে গতকাল সোমবার রাতে নগরীর জালালাবাদ থানায় মামলাটি করা হয়।
এ দিকে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের হল ত্যাগের নির্দেশ অমান্য করে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য মো. আবদুল হামিদের কাছে খোলা চিঠি দিয়েছেন তাঁরা। উপাচার্যকে অপসারণের জন্য দিয়েছেন ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম।
তিন দফা দাবিতে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে গত রোববার সন্ধ্যায় পুলিশের সংঘর্ষ হয়। অবরুদ্ধ উপাচার্যকে মুক্ত করতে গিয়ে পুলিশ শিক্ষার্থীদের ওপর লাঠিচার্জ করলে শুরু হয় সংঘাত। এতে পুলিশ, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীসহ অন্তত ৩০ জন আহত হন।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমদের নির্দেশে পুলিশ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ও গুলি ছোঁড়া হয়েছে। অথচ তাঁদের বিরুদ্ধেই করা হয়েছে মামলা। এতে ক্ষুব্ধ তাঁরা।
পুলিশের করা মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, রোববার ড. ওয়াজেদ মিয়া আইআইসিটি ভবনে অবরুদ্ধ উপাচার্যকে উদ্ধার করতে গেলে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ২০০ থেকে ৩০০ শিক্ষার্থী পুলিশের কাজে বাধা দেয়। এ সময় তাঁরা সরকারি অস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে।
এ ছাড়া পুলিশকে লক্ষ্য করে শিক্ষার্থীরা গুলি ছোঁড়ে ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটনায়। এতে মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখসহ ১০ পুলিশ আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ওই দিন পুলিশ ২১টি সাউন্ড গ্রেনেড ও ৩২ রাউন্ড শটগানের গুলি ছোঁড়ে।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে উপ-কমিশনার আজবাহার আলী শেখ বলেন, ‘মামলায় দুই থেকে তিনশ জনকে আসামি করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তারও করা হয়নি।’
পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগ মিথ্যে দাবি করে শাবিপ্রবির শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আবেদীন বলেন, ‘পুলিশ আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে হামলা করেছে। গুলি ছুঁড়েছে। আমাদের অনেকেই গুলিবিদ্ধ। তারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।’