শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার দাবিতে মিছিল, পুলিশের বাধা
রোডম্যাপ ঘোষণা করে অবিলম্বে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার দাবিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় অভিমুখে বিক্ষোভ মিছিল করেছে প্রগতিশীল ছাত্রসংগঠনগুলো। এতে বাধা দিয়েছে পুলিশ। আজ বুধবার দুপুর ১২টার দিকে সচিবালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
এর আগে সকাল ১১টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্য থেকে তাদের কর্মসূচি শুরু হয়। মিছিলটি রাজু ভাস্কর্য থেকে শুরু হয়ে শহীদ মিনার, দোয়েল চত্বর, হাইকোর্ট, প্রেসক্লাব অতিক্রম করে সচিবালয় গেইটে আসলে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে বাধা দেয়। প্রগতিশীল ছাত্রসংগঠনগুলোর মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট, বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রী, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন।
পুলিশের বাধায় সচিবালয় গেইটের সামনে থামকে যায় মিছিল। এ সময় শিক্ষার্থীদের ‘শিক্ষা ব্যবসা, এক সঙ্গে চলে না’; ‘হল-ক্যাম্পাস খুলে দাও, নাইলে গদি ছেড়ে দাও’; ‘করারোপ যেখানে, লড়াই হবে সেখানে’; ‘অচল হল সচল করো, শিক্ষা জীবন রক্ষা করো’; ‘বাধা আসবে যেখানে, লড়াই হবে সেখানে’; ‘লড়াই লড়াই লড়াই চাই, লড়াই করে বাঁচতে চাই’- ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়।
সেখানে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে প্রগতিশীল ছাত্রজোটের নেতাকর্মীরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার রোডম্যাপ ঘোষণার আহ্বান জানান। তাঁরা বলেন, শিক্ষার্থীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ভ্যাকসিন দেওয়ার আবেদন করেছিলাম, কিন্তু ফ্যাসিবাদী সরকার সেই দাবির প্রতি কর্ণপাত করেনি।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ব্যাপারে কোনো উদ্যোগও দেখতে পাচ্ছি না। রোডম্যাপও ঘোষণা করা হচ্ছে না। অথচ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ওপর ঠিকই ১৫ শতাংশ করারোপ করা হয়েছে। আমাদের যৌক্তিক দাবিতে পুলিশ বাধা দিয়েছে। এতে করে এ সরকারের ফ্যাসিবাদী চরিত্র স্পষ্ট। বাধা দিয়ে আমাদের আন্দোলন দমিয়ে রাখা যাবে না। শিক্ষা খাতের এই চক্রান্ত এবং এই চক্রান্তের মূল ফ্যাসিবাদী সরকারকে রুখে দিতে হবে।
নেতারা আরও বলেন, করোনার থাকা না থাকার প্রশ্ন শুধুমাত্র শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য করছে এ সরকার। শিক্ষামন্ত্রী বারবার শিক্ষার্থীদের আশ্বাস দিচ্ছে অথচ কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এ সময় তাঁরা শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগও দাবি করেন।
পুলিশি বাধার তীব্র নিন্দা জানিয়ে নেতারা বলেন, পুলিশি বাধার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। বাধা দিয়ে আমাদের আন্দোলন সংগ্রাম বন্ধ করা যাবে না, ছাত্রসমাজের জন্য আমাদের আন্দোলন চলবে। আপনারা বাড়াবাড়ি করছেন, এই বাড়াবাড়ির ফল ভালো হবে না। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ওই জংধরা তালা ভাঙতে হবে, আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।