শিক্ষা উপকরণের দাম বাড়ার প্রতিবাদে ঢাবিতে কলা ও কচুপাতা মিছিল
কাগজসহ অন্যান্য শিক্ষা উপকরণের দাম বাড়ার প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্র ইউনিয়ন কচুপাতা ও কলাপাতা হাতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে। আজ সোমবার টিএসসির সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
সমাবেশে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক দীপক শীল বলেন, ‘আজকে আমাদের সর্ব অঙ্গে ব্যথা ঔষধ দিব কোথা! যে সেক্টরে যাওয়া হোক না কেন সেখানেই সংকট। এর মাঝে নতুন করে যুক্ত হয়েছে শিক্ষা উপকরণের দাম বৃদ্ধিজনিত সংকট। আজকে বাজারে কাগজ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ছাপাখানার মালিকরা দায়ী করছেন মিল মালিকদের। মিল মালিকরা দায়ী করছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধকে। এভাবে সংকট ধীরে ধীরে ঘনীভূত হচ্ছে।’
দীপক শীল বলেন, ‘১৫ দিনের মধ্যে বাজারের সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। আমরা তথাকথিত উন্নয়ন চাই না। দুমুঠো খেয়ে পরে বাঁচতে চাই।’
কেন্দ্রীয় সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক সুমাইয়া সেতু বলেন, ‘খাতা, কলম ও ক্যালকুলেটরসহ সব শিক্ষা উপকরণের দাম ১০ থেকে ১৫ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এ ছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাসিক বেতনও অনেক বেড়ে গেছে। শিক্ষা উপকরণের মূল্য এমন বেশি থাকলে শিক্ষার্থীরা কীভাবে পড়াশোনা করবে? করোনা মহামারির কারণে সরকারের কথা ছিল, শিক্ষার্থীদের প্রণোদনা দেওয়া হবে, বৃত্তি দেওয়া হবে এবং আবাসিক শিক্ষার্থীদের মিলের ব্যবস্থা করা হবে। কিন্তু, তা করা হয়নি।’
সুমাইয়া সেতু আরও বলেন, ‘শিক্ষা আমার অধিকার। টাকা দিয়ে কেন কিনবো? সরকার এখন যেভাবে শিক্ষা উপকরণের দাম বৃদ্ধি করেছে, এ অবস্থা চলতে থাকলে শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করতে পারবে না। এই ডিজিটাল যুগে কলাপাতায় লিখতে চাই না। কচু পাতায় লিখতে চাই না। যদি শিক্ষা উপকরণের দাম কমানো না হয়, তাহলে শিগগিরই দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।’
মহানগর সংসদের সাধারণ সম্পাদক লাভলী হক বলেন, ‘দেশে এ মুহূর্তে একদিকে যেমন চলছে লোডশেডিং। অন্যদিকে বেড়েছে কাগজসহ সব শিক্ষা উপকরণের দাম। সবকিছুর দাম এত বেশি, আমরা খেয়ে বাঁচবো নাকি পড়াশোনা করব?’
ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সংসদের সহসাধারণ সম্পাদক মাহির শাহরিয়ার রেজার সঞ্চালয়নায় মিছিল পরবর্তী সমাবেশে বক্তব্য দেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক দীপক শীল, সাংগঠনিক সম্পাদক সুমাইয়া সেতু, ঢাকা মহানগর সংসদের সাধারণ সম্পাদক লাবলী হক এবং ঢাবি শাখার আহ্বায়ক কাজী রাকিব হোসাইন প্রমুখ।