সামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজজুড়ে শিক্ষার্থীদের উচ্ছ্বাস
দুপুর সাড়ে ১২টা। কলেজ ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের জটলা। অপেক্ষা, ফলাফলের। ফল ঘোষণা শুরু করেন কলেজটির অধ্যক্ষ। ফলাফল শুনে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বয়ে যায় আনন্দের ঢেউ। কেউ বা জড়িয়ে ধরেন পাশের জনকে, কেউ বা লাফিয়ে উঠে জানান দেয় বাঁধ ভাঙ্গা উল্লাসের। আবার কেউ কেউ দল বেঁধে শুরু করেন নাচ। অভিভাবকরাও তাঁদের সঙ্গে মেতে ওঠেন।
বলছিলাম সামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজের কথা। করোনা পরিস্থিতিতেও জিপিএ-৫ প্রাপ্তির এমন উচ্ছ্বাস ছিল কলেজজুড়ে। বহু প্রতীক্ষিত পরীক্ষার ফলাফল পেয়ে খুশি সেখানের সবাই।
রাজধানী ঢাকার ডেমরা সড়ক ধরে কিছুটা এগোতেই লাল ভবনের কলেজটি। বরাবরের মতো এবারও উচ্চ মাধ্যমিকে (এইচএসসি) ভালো ফলাফলের ঐতিহ্য ধরে রেখেছেন সেখানের শিক্ষার্থীরা। এবার বিজ্ঞান, বাণিজ্য ও মানবিক বিভাগ মিলে পরীক্ষার্থী ছিল ৯৬৮ জন। এর মধ্যে ৭০৬ জনই জিপিএ-৫ পেয়েছে।
বেলা সাড়ে ১২ টায় শিক্ষার্থীদের ফলাফল ঘোষণা করেন কলেজটির অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা। এরপর বাঁধ ভাঙা উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন শিক্ষার্থীরা।
ফলাফলের উচ্ছ্বাসে কলেজমাঠে আনিকা, মীম বৃত্তাকারে নাচ শুরু করেন তালে তালে। পাশে দাঁড়িয়ে থাকা অভিভাবকরা হাততালি দিয়ে তাঁদের সন্তানদের সাফল্যকে অভিনন্দন জানান।
মানবিক বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পাওয়া আনিকা এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘রেজাল্ট পেয়ে আমি অনেক খুশি। প্রথমে আব্বুকে জানিয়েছি। অনেক খুশি লাগছে। সব বন্ধুদের সঙ্গে আনন্দ করছি।’
ভালো ফলাফলের পেছনে শিক্ষকদের অবদান ভুলে যাননি কলেজের শিক্ষার্থীরা। বাণিজ্য বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পাওয়া তাসনিয়া আক্তার বলেন, ‘এই কলেজের শিক্ষার্থীদের ভালো ফলাফলের পেছনে শিক্ষকদের অনেক অবদান রয়েছে। তাঁরা আমাদের সঠিক দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। আমরা অনেক আনন্দিত।’
বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পাওয়া তামিমা বলেন, ‘পরীক্ষাটি ছিল আমাদের অনেক প্রতীক্ষার। অটোপাসের একটা শঙ্কা সব সময় কাজ করতো। পরে পরীক্ষা হলো।’ তিনি বলেন, ‘শিক্ষকদের কঠিন পরিশ্রমের কারণে আমাদের আজকের এই ভালো ফলাফল।’
বিজ্ঞান বিভাগ থেকে গোল্ডেন জিপিএ-৫ পাওয়া নিশাতের কাছে জানতে চাইলে তিনি এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘শিক্ষকদের সহযোগিতায় আজকে আমি এমন ভালো ফল করতে পেরেছি। ভবিষ্যতে ডাক্তার হয়ে মানুষের সেবা করার ইচ্ছে আছে।’ তিনি সবার কাছে দোয়া চান।
এ বিষয়ে অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান মোল্লা এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের মধ্যে একজন বিবাহিত ও একজন অন্তঃসত্ত্বা থাকায় সব বিষয় পরীক্ষা দিতে পারেনি। তাছাড়া সবাই পরীক্ষা দিয়েছে এবং ভালো ফলাফল করেছে।’