স্বাস্থ্যবিধি মেনে খুবিতে মাস্টার্স পরীক্ষা শুরু
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সশরীরে মাস্টার্স চূড়ান্ত পর্বের পরীক্ষা শুরু হয়েছে। এর মধ্যে গত মার্চে স্থগিত হয়ে যাওয়া পরীক্ষাও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ বিভাগের পরিচালক এস এম আতিয়ার রহমান ইমেল বার্তায় জানান, শিক্ষার্থীরা হলের বাইরে থেকেই এসব পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহমুদ হোসেন ২৫ মে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। পরে গত ৩০ মে একাডেমিক প্রধানদের নিয়ে সভা করেন। সভায় বেশকিছু সিদ্ধান্ত হয়। তারই আলোকে স্ব স্ব বিভাগের উদ্যোগে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মাস্টার্সের চূড়ান্ত পরীক্ষা গ্রহণ শুরু হয়েছে। পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে মাস্টার্স চূড়ান্ত পর্বের পরীক্ষা নেওয়া এরইমধ্যে শেষ হয়েছে। নগর ও গ্রামীণ পরিকল্পনা ডিসিপ্লিন আগামীকাল ২০ জুন, ইলেক্ট্রনিক অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং ডিসিপ্লিন ২২ জুন, গণিত ডিসিপ্লিন ২৪ জুন, ফরেস্ট্রি অ্যান্ড উড টেকনোলজি ডিসিপ্লিন ২৪ জুন, বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ডিসিপ্লিন ২৯ জুন, সয়েল ওয়াটার অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট ডিসিপ্লিনের ১ জুলাই পরীক্ষা গ্রহণের তারিখ ঘোষণা করেছে। কর্তৃপক্ষ এসব ডিসিপ্লিনের পরীক্ষা গ্রহণের অনুমোদন দিয়েছে।
এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের অভিপ্রায় বিবেচনায় নিয়ে অন্যান্য ডিসিপ্লিনের পরীক্ষা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে বলে জানা যায়।
সামাজিক বিজ্ঞান স্কুলের ডিন অধ্যাপক ড. মো. নাসিফ আহসান জানান, সব ডিসিপ্লিনের মাস্টার্স চূড়ান্ত পর্বের পরীক্ষা স্বাস্থ্যবিধি মেনে সশরীরে আগামী ১ জুলাই থেকে শুরু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
চারুকলা স্কুলের ডিন (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মো. মনিরুল ইসলাম জানান, চারুকলার অন্তর্ভুক্ত তিনটি ডিসিপ্লিনের স্থগিত মাস্টার্স পরীক্ষা গ্রহণের বিষয়টি সক্রিয় বিবেচনায় রয়েছে। যে কোনো দিন পরীক্ষা গ্রহণের তারিখ জানানো হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞান স্কুলের ডিন ও রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক খান গোলাম কুদ্দুস জানান, মাস্টার্সের চূড়ান্ত পর্বের পরীক্ষা ছাড়াও স্নাতক চতুর্থ বর্ষের স্পেশাল টার্মের পরীক্ষার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীদের অসুবিধার বিষয়গুলো উপাচার্য সর্বোচ্চ গুরুত্বের সঙ্গে দেখছেন। করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলেই স্নাতক চতুর্থ বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষা গ্রহণের বিষয়টি সর্বোচ্চ বিবেচনায় নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষ প্রস্তুত রয়েছে। তবে এক্ষেত্রে সশরীরে পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব না হলে যতো দ্রুত সম্ভব অনলাইনে চূড়ান্ত পরীক্ষা গ্রহণের প্রস্তুতিও নেওয়া হচ্ছে। কর্তৃপক্ষ গঠিত একটি সাধারণ ও একটি টেকনিক্যাল কমিটি এ লক্ষ্যে কাজ করছে।