হল খোলার দাবিতে বুয়েট শিক্ষার্থীদের অবস্থান
আবাসিক হল খুলে দেওয়ার দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালযয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থীরা। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১১টায় বুয়েটের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাদদেশে তাঁরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।
‘আবাসিক হল খুলে দাও, দিতে হবে’, ‘সারা দেশে অফলাইন, বুয়েটে কেন অনলাইন’, ‘অনলাইনে ইঞ্জিনিয়ার হতে চাই না, স্বশরীরে ক্লাসে ফিরে যেতে চাই’—এমন লেখা সংবলিত প্ল্যাকার্ড হাতে শিক্ষার্থীদের অবস্থান করতে দেখা যায়।
আন্দোলনরত একজন শিক্ষার্থী বলেন, ‘জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় আসা প্রতিবেদন অনুযায়ী এবং ছাত্রকল্যাণ পরিদপ্তরের পরিচালকের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, বুয়েটের প্রায় ৮০ শতাংশেরও বেশি শিক্ষার্থী দুই ডোজ টিকা নিয়েছে। তাদের বিশ্বাস এই সংখ্যা আরও বেশি হবে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় এক ডোজ টিকা নেওয়ার শর্তে আবাসিক হল খুলে দিয়েছে। কিন্তু, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ বিষয়ে একেবারে নিশ্চুপ।’
বুয়েটে স্নাতক তৃতীয় বর্ষের ছাত্র আনিসুর বলেন, ‘আমরা আর অনলাইনে কোনো ক্লাস বা পরীক্ষা চাই না। অবিলম্বে আবাসিক হল খুলে দিয়ে দ্রুত শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করা হোক। ক্লাস শুরু হওয়ার আগেই আবাসিক হল খুলে দিয়ে অন্তত এক ডোজ টিকাপ্রাপ্তদের হলে উঠতে দেওয়ার ঘোষণা দিতে হবে।’
অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমের বিরোধিতা করে ইন্টারনেট সংযোগের অভাব; উপযুক্ত ইলেকট্রনিক ডিভাইস না থাকা; অর্থনৈতিক সমস্যা ইত্যাদি অভিযোগ তুলে ধরেন শিক্ষার্থীরা।
অবস্থান কর্মসূচি চলাকালীন বুয়েটের প্রায় আড়াই হাজার শিক্ষার্থী স্বাক্ষর সংবলিত স্মারকলিপি বুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার ও ছাত্রকল্যাণ পরিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমানের কাছে জমা দেন।
গত বছরের মার্চে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দিলে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়। শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত রাখতে অনলাইনে কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। কিন্তু গত মাস থেকে প্রায় সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সরাসরি শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করলেও বুয়েট এখনও অনলাইনে তাদের শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।