এবার এইচএসসি পরীক্ষার্থী দেড় লাখ বেশি
আগামীকাল রোববার থেকে শুরু হবে উচ্চ মাধ্যমিক (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা।
এ বছর দেশের আটটি সাধারণ এবং মাদ্রাসা ও কারিগরিসহ ১০টি শিক্ষা বোর্ড থেকে মোট ১২ লাখ ১৮ হাজার ৬২৮ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবে। এ সংখ্যা গত বছরের চেয়ে এক লাখ ৪৪ হাজার ৭৪৪ জন বেশি।
এ বছর পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্র ছয় লাখ ৫৪ হাজার ১১৪ জন ও ছাত্রী পাঁচ লাখ ৬৪ হাজার ৫১৪ জন। যা গত বছরের তুলনায় যথাক্রমে ৮৩ হাজার ১২১ জন ও ৬১ হাজার ৬২৩ জন বেশি বলে বার্তা সংস্থা বাসসের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
পরীক্ষা সম্পূর্ণ নকলমুক্ত ও সুশৃঙ্খল পরিবেশে সফলভাবে অনুষ্ঠানের জন্য সব ব্যবস্থা সম্পন্ন করা হয়েছে বলে মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে। এবারের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা ছাত্র-শিক্ষক অভিভাবকসহ সবার কাছে আনন্দদায়ক ও উৎসবমুখর হবে বলে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ আশা প্রকাশ করেছেন। সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা সম্পন্নের জন্য তিনি শিক্ষক, অভিভাবক ও পরীক্ষার্থীসহ সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা কামনা করেছেন।
এ বছর ঢাকা, রাজশাহী, কুমিল্লা, যশোর, চট্টগ্রাম, বরিশাল, সিলেট ও দিনাজপুর এ আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড থেকে ১০ লাখ ২০ হাজার ১০৯ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবে। এর মধ্যে ছাত্র পাঁচ লাখ ২৫ হাজার ৬১৩ জন এবং ছাত্রী চার লাখ ৯৪ হাজার ৪৯৬ জন।
এ ছাড়া মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড থেকে এ বছর ৯১ হাজার ৫৯১ জন, কারিগরি বোর্ড থেকে এক লাখ দুই হাজার ১৩২ জন এবং ডিআইবিএস থেকে চার হাজার ৭৯৬ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে। মাদ্রাসা বোর্ড থেকে ৫২ হাজার ৬০৩ জন ছাত্র ও ৩৮ হাজার ৯৮৮ জন ছাত্রী, কারিগরি বোর্ড থেকে ৭২ হাজার ৯২ জন ছাত্র ও ৩০ হাজার ৪০ জন ছাত্রী এবং ডিআইবিএস থেকে তিন হাজার ৮০৬ জন ও ৯৯০ জন ছাত্রী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে। বিদেশের সাতটি কেন্দ্র থেকে এবার ২৬২ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবে। এর মধ্যে ছাত্র ১২৪ জন ও ছাত্রী ১৩৮ জন।
মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, গত বছরের তুলনায় এবার এইচএসসি পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থীর পাশাপাশি পরীক্ষার কেন্দ্র ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে। এবার পরীক্ষার কেন্দ্র ৩৩টি বৃদ্ধি পেয়ে দুই হাজার ৪৫২টি এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ২২৮টি বৃদ্ধি পেয়ে আট হাজার ৫৩৩টি হয়েছে।
তত্ত্বীয় পরীক্ষা আগামীকাল রোববার শুরু হয়ে ৯ জুন পর্যন্ত চলবে এবং ব্যবহারিক পরীক্ষা ১১ জুন শুরু হয়ে ২০ জুন শেষ হবে।
এ বছর এইচএসসি পরীক্ষায় প্রতি বিষয়ে প্রথমে বহুনির্বাচনী ও পরে সৃজনশীল/রচনামূলক (তত্ত্বীয়) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে এবং উভয় পরীক্ষার মধ্যে ১০ মিনিট সময়ের ব্যবধান থাকবে। এবার ১৯টি বিষয়ের ৩৬টি পত্রে সৃজনশীল পদ্ধতিতে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। গত বছর ১৫টি বিষয়ের ২৫টি পত্রে সৃজনশীল পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
মন্ত্রণালয় আরো জানায়, দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, সেরিব্রাল পালসিজনিত প্রতিবন্ধী এবং যাদের হাত নেই এমন প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থী স্ক্রাইব (শ্রুতি লেখক) সঙ্গে নিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। এ ধরনের পরীক্ষার্থীদের এবং শ্রবণপ্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত ২০ মিনিট সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে।
এ ছাড়া বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন (অটিস্টিক এবং ডাউন সিনড্রোম বা সেরিব্রাল পালসি আক্রান্ত) পরীক্ষার্থীদের ৩০ মিনিট অতিরিক্ত সময় এবং পরীক্ষার কক্ষে তাঁর অভিভাবক, শিক্ষক বা সাহায্যকারী নিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে সার্বক্ষণিকভাবে সারা দেশের এইচএসসি ও সমমানের সকল পরীক্ষা তদারকির ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।