তনু হত্যার বিচার নিয়ে সরকার নাটক শুরু করেছে
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের ছাত্রী সোহাগী জাহান তনু হত্যার ঘটনার বিচার নিয়ে সরকার নাটক শুরু করেছে বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা। আজ রোববার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে তাঁরা এ মন্তব্য করেন।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের মেধাবী ছাত্রী সোহাগী জাহান তনুর হত্যাকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও শাস্তি নিশ্চিত করা এবং সারা দেশে অব্যাহতভাবে চলমান নারী নির্যাতন, হত্যা-ধর্ষণের শাস্তির দাবিতে ‘পাল্টা আঘাত’ ব্যানারে এ নাগরিক সমাবেশের আয়োজন করে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।
সংগঠনটির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক তুহিন কান্তি দাসের সঞ্চালনায় এ সময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন মজুর সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আনোয়ার হোসাইন ভূইয়া, চলচ্চিত্র ও নাট্যাভিনেত্রী সুমনা সুমা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কঙ্কন ব্যানার্জি, উদীচীর সহসাধারণ সম্পাদক সঙ্গীতা ইমাম, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সভাপতি ইমরান হাবীব রুম্মন এবং ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জি এম জিলানী শুভ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, পহেলা বৈশাখে নিরাপত্তার নামে সরকার এবং আইনশৃঙ্খলাবাহিনী মানুষকে বিকেল ৫টার মধ্যে সব ধরনের অনুষ্ঠান শেষ করার সময় বেঁধে দিয়েছে- যা সান্ধ্য আইনের শামিল। তাঁরা এ সরকারের এ সান্ধ্য আইননীতিকে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
বক্তারা বলেন, তারা সরকারের এ সান্ধ্য আইনও চান না, নিরাপত্তাও চান না। সরকার যদি নিরাপত্তা দিতে না পারে তাহলে তাদের ওপর দায়িত্ব ছেড়ে দিক। পুলিশ, র্যাব লাগবে না, তারাই বখাটেদের প্রতিহত করবে। তাদের প্রতিহত করে তারা সারাদিন সারা রাত পহেলা বৈশাখ উদযাপন করবে।
এ সময় তনু হত্যা প্রসঙ্গে বক্তারা বলেন, তনু হত্যা শুধু একটি নমুনা মাত্র। সামাজিকভাবে আমরা এত নিচে নেমে গেছি যে, আমরা এখন পশুর মতো আচরণ করছি। মুক্তিযুদ্ধের পর থেকে আমরা পশুর চরিত্র নিয়ে এগোচ্ছি। তাই এ পশুর চরিত্র অধিকারীদের প্রতিহত করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
বক্তারা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, অবিলম্বে তনুর হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার না করলে তাঁরা কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবেন।