সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেছেন, ‘আইএস মানে ইসলামিক স্টেট নয়, ইসরায়েলি স্টেট। ভবিষ্যতে যদি আবিষ্কার হয় যে, আইএসের মূল হোতা ইসরায়েলের, তাহলে আমি বিস্মিত হব না।’

মন্ত্রী বলেন, ‘আল্লাহ চাইলে তো পৃথিবীর সব মানুষকে একসঙ্গে মুসলমান বানিয়ে দিতে পারতেন। কিন্তু তিনি তো করেননি। তিনি বলেছেন, আমি তোমাকে বুদ্ধি, জ্ঞান, বিদ্যা দিয়েছি। যেটি আমি অন্য কোনো প্রাণীকে দেইনি। কারণ মানুষকে আশরাফুল মাখলুকাত করে সৃষ্টি করা হয়েছে। বুদ্ধি দিয়ে সঠিক পথ বেছে নাও। এটা তোমার পরীক্ষা। এতে উত্তীর্ণ হলে জান্নাত নতুবা জাহান্নামে যাবে তুমি।’

‘অথচ গুলশান হামলাকারীরা কতটা দানবীয়, বীভৎস ছিল। এরা নাকি কাফের হত্যা করে জান্নাতে যাবে। আমার মাঝে মাঝে প্রশ্ন করতে ইচ্ছে করে, এরা তো আইএস নাম ব্যবহার করছে। যার জন্ম হচ্ছে সিরিয়ায়। তারা এখানে মানুষকে হত্যা করেছে, হাজার হাজার মানুষকে শরণার্থী বানিয়ে ইউরোপে পাঠিয়ে দিচ্ছে’, যোগ করেন সংস্কৃতিমন্ত্রী।

আজ বুধবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায়ে প্রশাসন ইনস্টিটিউট (আইবিএ) মিলনায়তনে জাতীয় শোক দিবসের এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

ব্যবসায়ে প্রশাসন ইনস্টিটিউট এ আলোচনা সভার আয়োজন করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সভাপতিত্বে এ সময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন, আইবিএর পরিচালক কে এম সাইফুল মজিদ প্রমুখ।

মন্ত্রী বলেন, ‘এ আইএস হাজার হাজার মাইল দূরে গিয়ে জার্মানি, ফ্রান্স, ইংল্যান্ড, পাকিস্তানে বোমা ফাটাচ্ছে। বাংলাদেশে করছে। পাকিস্তানে করেছে। অথচ ইসলামের সবচেয়ে বড় শত্রু হিসেবে চিহ্নিত ওই সিরিয়া থেকে মাত্র ৫০ থেকে ৬০ মাইল দূরে ইসরায়েলে তো হামলা করে না। কেন করে না- এ প্রশ্ন করা যায় না? তোমরা হাজার হাজার মাইল দূরে গিয়ে কাফের মারতে বোমা ফাটাও অথচ ইসলামের সবচেয়ে বড় শত্রু হিসেবে চিহ্নিত ইসরায়েলে তো বোমা ফাটাও না।’

আসাদুজ্জামান নূর বলেন, ‘ভবিষ্যতে যদি কোনো সময় আবিষ্কার হয় যে, আইএসের মূল হোতা ইসরায়েলের তাহলে আমি বিস্মিত হব না। কারণ বড় বড় দু-একটি দেশ তো আছে যারা সারা পৃথিবীতে এসব লাগিয়ে রাখছে। যেখানে যেখানে ঢুকছে সেখানে সর্বনাশ করে গেছে। আমাদের এখানেও ঢোকার চেষ্টা করছে। আফগানিস্তান, পাকিস্তান, সিরিয়া, ইরাকে সর্বনাশ করেছে।’

মন্ত্রী আরো বলেন, ‘তারা আবার মহাপরাক্রমশালী। নাম নিলেও নাকি অসুবিধা। তারাই তো ইসরায়েলের সবচেয়ে মদদদাতা। এই কারণেই কি ওখানে হামলা হয় না। নানাভাবে চিন্তা করা উচিত। কেন ইসরাইলে হামলা হচ্ছে না? বোঝা যায়, এখানে একটা ষড়যন্ত্র রয়েছে। বৈশ্বিক ষড়যন্ত্র রয়েছে। এ ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে আমাদের দেশেও এসব হামলা হচ্ছে।’