প্রক্সিদাতা বহিষ্কার, কারাগার থেকে পরীক্ষা দিচ্ছেন অপর অভিযুক্ত ছাত্রলীগনেতা
ভর্তি পরীক্ষায় প্রক্সি দেওয়ায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থী স্বপন হোসাইনকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। তবে, প্রক্সিকাণ্ডে গ্রেপ্তার অপর শিক্ষার্থী হাসিবুল ইসলাম শান্ত। তিনি ছাত্রলীগনেতা বলে জানা গেছে।
আজ বুধবার (৭ জুন) বিকেলে প্রক্সিকাণ্ডে জড়িত থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী স্বপন হোসাইনকে সাময়িক বহিষ্কার করে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। তিনি লোক প্রশাসন বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র। আর হাসিবুল ইসলাম শান্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র এবং শাখা ছাত্রলীগের সহসম্পাদক।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাবির 'এ' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় কৃষি অনুষদ ভবনে অন্যের হয়ে অংশ নেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী স্বপন হোসাইন৷ তিনি তানভীর আহমেদ নামের এক ভর্তি পরীক্ষার্থীর হয়ে প্রথম শিফটের পরীক্ষায় অংশ নেন৷ ফলে প্রক্সি পরীক্ষার্থী হিসেবে অবতীর্ণ হওয়ায় তাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ৩০ মে 'এ' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় প্রক্সির দেওয়ার অভিযোগে সাতজনকে আটক করে প্রক্টরিয়াল টিম৷ পরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তারা বিষয়টি স্বীকার করেন৷ পরের দিন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে নগরীর মতিহার ও চন্দ্রিমা থানায় একটি মামলা করলে তাদেরকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়৷ তারা পুলিশের কাছেও স্বীকারোক্তি দেন।
এ ঘটনায় জড়িত থাকলেও কারাগার থেকে ছাত্রলীগনেতা হাসিবুল ইসলাম শান্ত ৪০৮ ও ৪১১ নম্বর কোর্সের পরীক্ষায় দিচ্ছেন বলে জানা গেছে। পরে ইতিহাস বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মাহমুদা খাতুনের কাছে জানতে চাইলে তিনি তথ্য নিশ্চিত করেছন৷ এই অধ্যাপক বলেন, ‘শান্ত কারাগারে বসে ৪০৮ ও ৪১১ নম্বর কোর্সের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছেন। তার কোর্সের পরীক্ষা শেষ হয়েছে। এখন শুধু মৌখিকে অংশ নেবে৷’
প্রক্সিতে জড়িত থাকার বিষয়ে স্বীকারোক্তির পরও কোর্সের পরীক্ষায় শান্তর অংশগ্রহণ নিয়ে জানতে চাইলে রাবি উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেন, ‘বিষয়টি প্রক্টর ভালো বলতে পারবেন। তিনি এটা দেখভাল করছেন৷’
প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক এনটিভি অনলাইনকে বলেন, 'আমরা যাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছি তাদের স্বীকারোক্তি নিয়ে পুলিশ হাসিবুল ইসলাম শান্তের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে৷ তাকে সরাসরি পরীক্ষার হল থেকে আটক করা হয়নি৷ তবে, আমরা যদি প্রমাণ পাই যে, তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হয়ে প্রক্সিকাণ্ডে জড়িত, তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷'