ঢাবিতে সাদা দলের মানববন্ধন, নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি
মানববন্ধন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাদা দল। সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবিতে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। আজ বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে কর্মসূচি পালন করেন সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক মো. লুৎফর রহমানের সভাপতিত্বে ও ব্যবসায় প্রশাসন ইন্সটিটিউটের অধ্যাপক ড. মহিউদ্দিনের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য দেন করেন ঢাবি শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাদা দলের সাবেক আহ্বায়ক অধ্যাপক এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম, সাদা দলের যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. সিদ্দিকুর রহমান খান প্রমুখ।
মানববন্ধনে অধ্যাপক মো. লুৎফর রহমান বলেন, ‘সারা বাংলাদেশে এক দফা দাবিতে মানুষের ঢল নেমেছে। গণ-মানুষের সেই দাবির সঙ্গে এই সরকারের পদত্যাগ এবং নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আমরাও এখানে দাঁড়িয়েছি, যা নির্দিষ্ট কোনো দলের নয়, বরং এটি এখন বাংলাদেশের গণমানুষের দাবিতে পরিণত হয়েছে।’
লুৎফর রহমান আরও বলেন, ‘জনগণ আজ বুঝতে সক্ষম হয়েছে যে, এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না বা হতে পারে না। সারা বাংলাদেশের মানুষ বিরোধীদলের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে মনে করে যে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। আর সেটি তখনই সম্ভব হবে, যখন এই ফ্যাসিস্ট সরকার পদত্যাগ করবে। আমরা সরকারকে আহ্বান জানাবো যে, আপনারা পদত্যাগ করুন এবং একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার দিন, যাতে এদেশের মানুষ শান্তিপূর্ণভাবে তাদের ভোট দেওয়ার অধিকার ফিরে পায় এবং মানুষ যেন জনগণের সরকার পায়, সেই সুযোগটা তাদেরকে দিন। অন্যথায়, জনগণ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে তাদের এই দাবি আদায় করবে।’
ড. এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম বলেন, ‘বর্তমান সরকার আটঘাট বেঁধে নির্বাচনের জন্য নেমেছে। নির্বাচনের আগে তারা কিছু কাজ করে যাচ্ছে, সে কাজগুলোর মধ্যে একটি হলো রাস্তা ক্লিয়ার করা। যে রাস্তায় কোন কণ্টকাকীর্ণ থাকবে না। সেই প্রেক্ষিতে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তার পথের কাঁটা। দুই পথের কাঁটাকে সরিয়ে দেওয়ার পর আরও যদি পথের কাঁটা তৈরি হয়, এজন্য ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সহধর্মিনীকেও কীভাবে সড়ানো যায় এই প্লান (পরিকল্পনা) তারা করে যাচ্ছে।’
সিদ্দিকুর রহমান খান বলেন, ‘আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল; কিন্তু, বিচারের নামে বিএনপির প্রতি এবং জিয়া পরিবারের প্রতি যে অবিচার বাংলাদেশের করা হচ্ছে, আমাদের প্রতিবাদের জায়গাটা সেখানেই।’ তার দাবি, ‘কথিত একটি অভিযোগ এনে খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে রাখা হয়েছে।’
মানববন্ধনে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সাদা দলের যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক আব্দুস সালাম, ফার্মেসি অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক আব্দুর রশিদ, প্রাণ রসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডক্টর ইয়ারুল কবির, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক রুহুল আমিন, বিজনেস স্টাডিজ বিভাগের আহ্বায়ক ফিন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক ড. শহিদুল ইসলাম জাহিদ প্রমুখ।