এসএসসিতে ফেল থেকে পাস আড়াই হাজার, জিপিএ-৫ পেল ১৬০৯
এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার খাতা চ্যালেঞ্জ বা পুনর্নিরীক্ষণের ফল প্রকাশ করা হয়েছে। নতুন ফলে সব শিক্ষা বোর্ড, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে নতুন করে এক হাজার ৬০৯ শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছেন। আর ফেল থেকে পাস করেছেন দুই হাজার ৪৭৫ শিক্ষার্থী।
আজ সোমবার (২৮ আগস্ট) দুপুরে সব বোর্ডের ওয়েবসাইটে একযোগে প্রকাশিত পুনঃনিরীক্ষার ফল ঘেটে এ তথ্য জানা গেছে।
নতুন করে জিপিএ-৫ পাওয়াদের মধ্যে ঢাকা বোর্ডে রয়েছে ৩৬২ শিক্ষার্থী। চট্টগ্রাম বোর্ডে ১৬২, যশোর বোর্ডে ৫১, কুমিল্লা বোর্ডে ৯৪, রাজশাহী বোর্ডে ৫৩, বরিশাল বোর্ডে ২৯, সিলেট বোর্ডে ৪৯, ময়মনসিংহ বোর্ডে ১৪৯, দিনাজপুর বোর্ডে ৬১, মাদ্রাসা বোর্ডে ৫৯৭ এবং কারিগরি বোর্ডে দুজন শিক্ষার্থী পুনর্নিরীক্ষণের ফলে জিপিএ-৫ পেয়েছে। এর মধ্যে যশোর বোর্ডে ফেল থেকে নতুন করে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯ শিক্ষার্থী।
এ ছাড়াও ১১টি শিক্ষা বোর্ডে দুই হাজার ৪৭৫ শিক্ষার্থী ফেল থেকে পাস করেছেন। তাদের মধ্যে ঢাকা বোর্ডে ১০৪, চট্টগ্রাম বোর্ডে ১৩০, যশোর বোর্ডে ৫২, কুমিল্লা বোর্ডে ১৮০, রাজশাহী বোর্ডে ৪৯ ও বরিশাল বোর্ডে তিন শিক্ষার্থী পাস করেছে। আর সিলেট বোর্ডে ৮১, ময়মনসিংহ বোর্ডে ৯৩, দিনাজপুর বোর্ডে ৭৬, মাদ্রাসা বোর্ডে এক হাজার ৫৩৪ এবং কারিগরি বোর্ডে ১৭৩ শিক্ষার্থী পুনর্নিরীক্ষণের ফলে পাস করেছে।
গত ২৮ জুলাই এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়। চলতি বছর প্রায় ৮০ দশমিক ৩৯ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে। তবে, কাঙ্ক্ষিত ফলাফল না পেয়ে বোর্ডকে চ্যালেঞ্জ করার জন্য সাতদিন সময় পায় শিক্ষার্থীরা। গত ২৯ জুলাই থেকে আবেদনে সময় শুরু হয়, যা চলে ৪ আগস্ট পর্যন্ত।
জানা যায়, ঢাকা বোর্ডে পরীক্ষার ফলে সন্তুষ্ট হতে না পেরে উত্তরপত্র চ্যালেঞ্জ করেন ৭৩ হাজার ৪৬ জন শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে ফলে পরিবর্তন হয়েছে তিন হাজার ১৬ শিক্ষার্থীর। কুমিল্লা বোর্ডে পরিবর্তন হয়েছে ৮৭৯ শিক্ষার্থীর। এর মধ্যে গ্রেড পরিবর্তন হয়েছে ৬০৫ জনের। এ বোর্ডে ২৭ হাজার ৬০ শিক্ষার্থী ৬৫ হাজার ৪০ উত্তরপত্র পুনর্নিরীক্ষণের জন্য আবেদন করে।
সিলেট বোর্ডে ১৪ হাজার ২০ শিক্ষার্থী ফল পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন করে। এর মধ্যে ফল পরিবর্তন হয়েছে ৪৭২ শিক্ষার্থীর। রাজশাহী বোর্ডের ৩৬১ শিক্ষার্থীর ফল পরিবর্তন হয়েছে। চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের এক হাজার ৮০ শিক্ষার্থীর ফল পরিবর্তন হয়েছে। বরিশাল বোর্ডে ২১ হাজার ৩৯৭টি আবেদনের ভিত্তিতে ফল পরিবর্তন হয়েছে সাত হাজার ৩৮৬ শিক্ষার্থীর। যশোর বোর্ডের মোট ৫৩৪ জন পরীক্ষার্থীর ফল পরিবর্তন হয়েছে।
মাদ্রাসা বোর্ডে ৪৭ হাজার ৬৯৯টি আবেদনের ভিত্তিতে চার হাজার ১৯৫ জনের ফল পরিবর্তন হয়েছে। কারিগরি বোর্ডে ফল পুনর্নিরীক্ষণের জন্য মোট ১১ হাজার ৭৬৬ শিক্ষার্থী আবেদন করেন। এর মধ্যে ফল পরিবর্তন হয়েছে ২৩৩ জনের।