ছাত্রলীগ নেতাদের মারধর : ডিএমপি কার্যালয়ে সাদ্দাম-ইনান
ডিএমপির অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) হারুন অর রশীদ কর্তৃক দুই ছাত্রলীগ নেতাকে মারধরের ঘটনা ও সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলতে দলটির সভাপতি সাদ্দাম হোসাইন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সদর দপ্তরে গিয়ে কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুকের সঙ্গে দেখা করেছেন। আজ সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টা ১০ মিনিটের দিকে সাদ্দাম ও ১টা ২০ মিনিটের দিকে ইনান সেখানে যান। এরপর বৈঠক শেষে পৌনে ৩টার দিকে ডিএমপি কার্যালয় থেকে বের হয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তারা।
সাদ্দাম হোসাইন বলেন, ‘আমাদের দুজন নেতাকে মারধরের এই অনাকাঙ্ক্ষিত, দুঃখজনক এবং অনভিপ্রেত যে ঘটনাটি ঘটেছে তাতে ছাত্রলীগের প্রত্যেকটি নেতাকর্মীর হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়েছে। আমরা সেই ঘটনার আশু সুরাহা নিশ্চিত করার জন্য আইনের শাসন সুনিশ্চিত করার জন্য এবং ঘটনায় যারা দায়ী তাদের বিষয়ে যেন আইন অনুযায়ী যথাযথ শাস্তি নিশ্চিত করা হয়, সেজন্য আমরা গতকাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। আজ ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে কথা বলেছি।’
ছাত্রলীগ সভাপতি বলেন, ‘ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে আমাদের দাবিগুলো সুস্পষ্টভাবে জানিয়েছি এবং ডিএমপি কমিশনার আমাদেরক আশ্বস্ত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ঘটনাটি সম্পর্কে তদন্ত ইতোমধ্যে চলছে। তদন্ত অনুযায়ী আইনানুগ শাস্তি নিশ্চিত করা হবে। আমরা দৃঢ়তার সঙ্গে বলতে চাই, ছাত্রলীগ যুগেযুগে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করেছে। নিয়মতান্ত্রিকভাবে আমরা যেকোনো সমস্যার সমাধান নিশ্চিত করতে পারি। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা যে দায়িত্বশীলতার এবং যে সুবিবেচনার পরিচয় দিয়েছে, এটির ওপর ভিত্তি করেই ছাত্রলীগ এই বিষয়টি নিয়ে কাজ করবে।’
এর আগে শনিবার রাতে রাজধানীর শাহবাগ থানায় এডিসি হারুনের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের দুই কেন্দ্রীয় নেতাকে পুলিশ নির্মমভাবে পিটিয়ে আহত করে বলে অভিযোগ ওঠে।
আহত ব্যক্তিরা হলেন—ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফজলুল হক হলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন এবং ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় বিজ্ঞানবিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ হলের সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহমেদ। এ ঘটনার পর আহত নাঈমকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল পরে মালিবাগের ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে রোববার রাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ডেন্টাল বিভাগে ভর্তি করা হয়।
এদিকে নির্যাতনের অভিযোগে এডিসি হারুনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। প্রত্যাহার করে তাকে পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট (পিওএম) বিভাগে সংযুক্ত করা হয়। এরপর আবার তাকে এপিবিএনে বদলি করা হয়। এ ছাড়া নির্যাতনের ঘটনায় তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে ডিএমপি। এ কমিটিকে দুদিনের মধ্যে তদন্ত করে ডিএমপি কমিশনার বরাবর প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।