হেমন্তে আমন ধান কেটে রাবিতে নবান্ন উৎসব
শীতের আভাস নিয়ে চলছে আমন ধান কাটার মৌসুম। আর এই মৌসুমী ধান ঘরে তোলায় ব্যস্ত কৃষকরা। নতুন চালের তৈরি শীতের পিঠাপুলির রূপ রসে উৎসবে মেতেছে তারা। সেই উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে আজ সকালে নবান্ন উৎসবের আয়োজন করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এগ্রোনমি অ্যান্ড এগ্রিকালচারাল এক্সটেনশন বিভাগ।
আজ বুধবার (১৫ নভেম্বর) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদ ভবনে ধান কেটে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে উৎসবের উদ্বোধন করেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম।
এ উপলক্ষে কৃষি অনুষদ থেকে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করে বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। শোভাযাত্রাটি ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এছাড়া পিঠা উৎসব, ধান কাটা উৎসব, বাঙালির খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কারের আয়োজন করা হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, নবান্ন উৎসব ঘিরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদ প্রাঙ্গণ সেঁজেছে বাঙালি সাঁজে। উৎসবে অংশ নিতে সকাল থেকেই বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সমাগম শুরু হয়।
ছোট ছোট পিঠার স্টলগুলোতে সাঁজানো হয় হরেক রকমের পিঠার পসরা। হৃদয় হরণ, আলকানন্দা, পাতার সেফাই, ক্ষীর পুলির আসর, রক্তকরবী, শেকড়ের টান, পৌষাল, ঢেঁকির বৈঠকখানা, পিঠা মঞ্জুরী ইত্যাদি নামের নয়টি স্টল রয়েছে।
সেখানে চন্দ্রপুলি, হৃদয় হরণ, জামাই পিঠা, কুশলী পিঠা, নকশি পিঠা, পাটিসাপটা, দুধপুলি, গোলাপ পিঠা, রসভোরি ও বিস্কুট পিঠাসহ বাহারি নামের সব পিঠা দেখা যায়। সঙ্গে রয়েছে ফিরনি পায়েস, মোহন ভোগ ও দুধ গোকুলসহ নানা ধরনের মিষ্টান্ন।
নবান্ন উৎসব নিয়ে এগ্রোনমী অ্যান্ড এগ্রিকালচার এক্সটেনশন বিভাগের শিক্ষার্থী ইবাইদুল আহাদ বকুল বলেন, 'প্রতি বছর-ই আমাদের বিভাগ থেকে নবান্ন উৎসব আয়োজন করেছে। দিনটি আমরা উৎসবমুখর পরিবেশে কাটাই।
এসময় আমরা বাহারী রকমের পিঠা বিক্রি করি। নবান্ন উৎসব আমাদের গ্রামীণ সংস্কৃতি। বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো জায়গায় অগ্রহায়ণের প্রথম দিনে নবান্ন উৎসব পালন করা আসলে গর্বের বিষয়।'
জানতে চাইলে এ বিষয়ে বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, প্রতি বছরের ন্যায় এবারও আমরা নবান্ন উৎসব পালন করছি।
বাঙালি সংস্কৃতিকে বিশ্বের মাঝে তুলে ধরার লক্ষ্যে আমরা আয়োজনটা করে থাকি। দুপুর পর্যন্ত আমাদের পিঠা উৎসব থাকবে।
এছাড়া বিকেলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এ উৎসবের সমাপ্তি হবে। এছাড়া এবারে রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলার কারণে আমাদের তাড়াহুড়ো করে আয়োজন করেছি।