ছাত্র নির্যাতনের ঘটনায় ঢাবির ৪ শিক্ষার্থী বহিষ্কার
গত ৮ নভেম্বর রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রকে নির্যাতনের অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চার শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।
এ ছাড়া, ‘বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাদের কেন স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না’ এ মর্মে সাত কার্য দিবসের মধ্যে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।
আজ সোমবার (২০ নভেম্বর) নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে শৃঙ্খলা পরিষদের সভায় বহিষ্কারের এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল সভায় সভাপতিত্ব করেন।
সাময়িকভাবে বহিষ্কৃতরা হলেন শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের তবারক মিয়া, অর্গানাইজেশন স্ট্র্যাটেজি অ্যান্ড লিডারশিপ বিভাগের মুরসালিন ফাইয়াজ ও ফয়সাল আহমেদ সাকিব এবং অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী জুবায়ের ইবনে হুমায়ুন।
এ ছাড়া, কথিত ‘প্রলয় গ্যাং’ নামের একটি গ্রুপের বিভিন্ন অসামাজিক কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে গঠিত আন্তহল তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী ১৪ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। এর বাইরে, সভায় পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে ৪৯ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি দেওয়া হয়।
গত ৮ নভেম্বর বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মীর আরসালানকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দুই ঘণ্টা আটকে রাখে প্রলয় গ্যাংয়ের কয়েকজন সদস্য। তার গায়ে জ্বলন্ত সিগারেটের ছ্যাকা দেওয়াসহ নানাভাবে নির্যাতন করা হয়। এ সময় চিকিৎসক দম্পতির ছেলে আরসালানের ফোনও ভেঙে ফেলা হয়। তাঁর কাছে থাকা নগদ টাকা ছিনিয়ে নেওয়া হয়।
এ ঘটনায় পরের দিন শাহবাগ থানায় মামলা করেন আরসালানের মা। এ মামলায় সম্প্রতি তবারক মিয়াকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।