নবীনদের বরণ করলো ঢাবি সাংস্কৃতিক সংসদ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) সাংস্কৃতিক সংসদ দিনব্যাপী নানা সাংস্কৃতিক পরিবেশনা ও উৎসব আমেজের মধ্য দিয়ে নবীনতম ‘ঋদ্ধ’ ব্যাচের সদস্যদের বরণ করে নিয়েছে। গতকাল বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) ঢাবির ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) এ অনুষ্ঠান হয়। দুপুর ৩টায় শুরু হয়ে অনুষ্ঠান চলেছে রাত পর্যন্ত।
ঢাবির গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও সাংস্কৃতিক সংসদের মডারেটর সাবরিনা সুলতানা চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) উপদেষ্টা সিকদার মনোয়ার মুর্শেদ। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন খ্যাতিমান চিত্রসম্পাদক আবু মুসা দেবু। বিশেষ অতিথি ছিলেন সংগীতশিল্পী আহমেদ হাসান সানি।
সংগঠনের মডারেটর সাবরিনা সুলতানা চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক সংসদ হওয়ার আগে যারা সংস্কৃতি চর্চা করতেন তারা বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিলেন। এখন যে ফ্যাকাল্টিরই হোক না কেন, যে শিক্ষার্থী নাচ করেন, আবৃত্তি করেন, গান করেন, অনুষ্ঠান আয়োজনের সঙ্গে থাকতে চান, যারা অভিনয় করেন প্রত্যেকে আমরা একসঙ্গে আছি। ‘অ’ থেকে শুরু হওয়া এ সংগঠন ‘ঋদ্ধ’তে এসে সমৃদ্ধ হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক সংসদ এবং বাঙালিদের সংস্কৃতি চর্চা আমাদের সবগুলো বর্ণ শেষ হয়ে যাওয়ার পরও চলবে।’
টিএসসি উপদেষ্টা সিকদার মনোয়ার মুর্শেদ বলেন, সংস্কৃতি একটি বিস্তৃত বিষয়। কথা বলা, চলা, জীবনযাপনের প্রতি পদে পদে জড়ানো সংস্কৃতি। সংস্কৃতির প্রতিটি অঙ্গন নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক সংসদ কাজ করছে। আমাদের এই টিএসসি কেবল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্যই না, বাংলা ভাষা এবং বাঙালি জাতির বিকাশের সঙ্গে পাতায় পাতায় জড়িয়ে আমাদের এই টিএসসি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক সংসদের সভাপতি দেবজ্যোতি বিশ্বাস বলেন, বছরব্যাপী বিভিন্ন আয়োজন ও পরিবেশনার মাধ্যমে বাংলা সংস্কৃতিচর্চার পাশাপাশি সর্বত্রই বাঙালিয়ানার ছাপ ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক সংসদ। সংগঠনের বিভিন্ন ব্যাচের নামকরণেও সেই প্রচেষ্টা দৃশ্যমান। বাংলা বর্ণমালার বিভিন্ন বর্ণ দিয়ে ধারাবাহিকভাবে করা হয় বিভিন্ন ব্যাচের নামকরণ। অয়োময়, আত্রেয়ী, ইচ্ছামতি, ঈশান, উচ্ছ্বাস, উষা ব্যাচের ধারাবাহিকতায় সময়ের পরিক্রমায় নতুন আরেকটি ব্যাচ ‘ঋদ্ধ’ যুক্ত হলো আমাদের পরিবারে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক সংসদ যাত্রার শুরু থেকেই সাংস্কৃতিক স্বাধীনতা ও স্বকীয়তার সুস্থ চর্চায় সচেষ্ট। নিজেদের আয়োজিত বিভিন্ন অনুষ্ঠানের পাশাপাশি দেশব্যাপী বিভিন্ন সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় তাদের অংশগ্রহণ ও পরিবেশনা প্রশংসনীয়। বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতির সহাবস্থানে সম্প্রীতি চর্চা ও অসাম্প্রদায়িকতার আদর্শ তরুণদের মাঝে প্রসারে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে আসছে সংগঠনটি।