পর্দা নামল ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের
শেষ হয়েছে ১০ম ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল (ডিআইএমএফএফ) ২০২৪। রোববার (৩ মার্চ) রাজধানীর বসুন্ধরা সিটি শপিংমলের স্টার সিনেপ্লেক্সে ফেস্টিভ্যালের সমাপনী অনুষ্ঠান হয়। এ বছর ডিআইএমএফএফ মোবাইল দিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণের এক দশক উদযাপন করেছে।
সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চিত্রনাট্যকার, চলচ্চিত্র প্রযোজক ও জাজ মাল্টিমিডিয়ার চেয়ারম্যান আবদুল আজিজ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউল্যাবের ভাইস চ্যান্সেলর ইমরান রহমান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আবদুল আজিজ বলেন, প্রযুক্তি এখন একটি কলম ও কাগজের মতো। চলচ্চিত্র নির্মাতাদের এটির সদ্ব্যবহার করা উচিত এবং পেশাদারভাবে মোবাইল ফোন ব্যবহার করা উচিত।
এরপর প্রফেসর ইমরান রহমান, প্রধান অতিথি আবদুল আজিজ ও ইউল্যাবের প্রো-ভাইস- চ্যান্সেলর ড. জুড উইলিয়াম হেনিলো বিজয়ীদের হাতে ক্রেস্ট, পুরস্কারের অর্থ ও সনদপত্র তুলে দেন।
ইউল্যাবের প্রো ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. জুড উইলিয়াম হেনিলো অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। ফেস্টিভ্যালের জন্য নির্বাচিত চলচ্চিত্রগুলো ইউল্যাবের খোলা মাঠে প্রদর্শন করা হয়।
প্রফেসর জুড উইলিয়াম হেনিলো বলেন, কোনো খরচ ছাড়াই মোবাইল দিয়ে একটি ফিল্ম তৈরি করা যে সম্ভব সে বার্তা ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য ডিআইএমএফএফ অন্যতম সেরা প্ল্যাটফর্ম। আর ফেস্টিভ্যাল ডিরেক্টর জুবায়দা জাহান সজলিন বলেন, আমি আমার টিমের কাছে অত্যন্ত কৃতজ্ঞ যারা এই ইভেন্টটি সফল করার জন্য সারা বছর ধরে কঠোর পরিশ্রম করেছে।
এর আগে, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের উপদেষ্টা এবং ইউল্যাবের মিডিয়া স্টাডিজ অ্যান্ড জার্নালিজম বিভাগের সিনিয়র লেকচারার সৈয়দা সাদিয়া মাহজাবিন উদ্বোধনী দিনের দ্বিতীয় স্ক্রিনিংয়ের উদ্বোধন করেন। দ্বিতীয় স্ক্রিনিংয়ে ইউএনএইচসিআরের ‘ফোর্সড টু ফ্লী’ শিরোনামে চালু করা একটি নতুন বিভাগে অন্তর্ভুক্ত তিনটি চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হয়।
ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল ২০১৫ সালে যাত্রা শুরু করে। ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের (ইউল্যাব) মিডিয়া স্টাডিজ অ্যান্ড জার্নালিজম বিভাগ (এমএসজে) থেকে এই ফেস্টিভ্যালের ১০তম আসরে বিশ্বের ৩৫টি দেশের মোট ১৭৬টি চলচ্চিত্র প্রদর্শনীতে অংশ নেয়।