ঢাবির চারুকলায় মঙ্গল শোভাযাত্রার প্রস্তুতির উদ্বোধন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পহেলা বৈশাখ ও বাংলা নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে মঙ্গল শোভাযাত্রা আয়োজনের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেছেন শিল্পী ইমেরিটাস অধ্যাপক হাশেম খান। আজ বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) দুপুর ২টার দিকে চারুকলা অনুষদের ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক ও দেশের শিল্পীদের উপস্থিতিতে অনুষদ প্রাঙ্গণে এর শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন তিনি।
শিল্পী হাশেম খান বলেন, ‘এই চারুকলা অনুষদ থেকে প্রতি বছর বাংলা নববর্ষ উদযাপন করা হয়। সেই পাকিস্তান আমল থেকে এটি শুরু হয়েছিল। তখন পাকিস্তানি সংস্কৃতির নামে এক ধরনের জগাখিচুড়ি আমাদের ওপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছিল। তারই তীব্র প্রতিবাদ ছিল এই মঙ্গল শোভাযাত্রা।’
হাশেম খান বলেন, ‘অন্যায়ের বিরুদ্ধে, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে মানুষকে সচেতন করে তোলার জন্যই এ ধরনের আয়োজন করা হয়ে থাকে। তরুণ বয়সে আমরা রক্তচক্ষুকে তোয়াক্কা করিনি। তাদের নিষেধ সত্ত্বেও আমরা বন্দুকের আলপনা এঁকেছি, শহীদ মিনারের আলপনা এঁকেছি। চারুকলার তৎকালীন ছাত্র-শিক্ষকরা এ বাংলাকে জাগিয়ে তোলার জন্য ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে যা যা করার দরকার তা সব করেছিলেন।’
হাশেম খান আরও বলেন, ‘জাতিসংঘের কাছে আমাদের একটাই দাবি ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সেই গণহত্যাকে বিশ্বব্যাপী স্বীকৃতি দিতে হবে। যে গণহত্যা দীর্ঘ ৯ মাসব্যাপী পাকিস্তানি বাহিনীরা চালাতে চেয়েছিল এ দেশের সাড়ে সাত কোটি মানুষের ওপর।’
শিল্পী হাশেম খান বলেন, ‘আমরা পহেলা বৈশাখ উদযাপনের যাত্রা শুরু করলাম। এক মাস ধরে আমাদের শিল্পীরা মঙ্গল শোভাযাত্রার প্রস্তুতি নেবেন। সব অশুভ শক্তিকে রুখে দেওয়ার জন্য আমাদের শিল্পীরা প্রস্তুত। আমরা চাই জনসাধারণ আমাদের সঙ্গে একাত্ম হয়ে এতে অংশ নিক। আগামী প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধ ও এর পরবর্তী সময়কার ইতিহাস সঠিকভাবে তুলে ধরাই এ আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য।’
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে চারুকলা অনুষদের ডিন, শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।