'একে তো কোটার বাঁশ, তার উপর প্রশ্ন ফাঁস'
শাহবাগে একদিকে চলছে স্লোগান, অন্যদিকে আঁকা হচ্ছে আল্পনা। সেই আল্পনায় লেখা, ‘একে তো কোটার বাঁশ, তার উপর প্রশ্ন ফাঁস'। আল্পনায় এমন স্লোগান কেন জানতে চাইলে কোটাবিরোধীরা জানান, কোটায় মেধা অবমূল্যায়িত হয়, তার ওপর প্রশ্ন ফাঁস করে সম্পদশালীরা তাদের কম মেধার অযোগ্য সন্তানকে চাকরিতে সহায়তা করছেন। এতে দেশ পিছিয়ে পড়ছে, মেধাবীরা নিরুৎসাহিত হচ্ছেন। এসব চিন্তায় আমরা এই আন্দোলনে নেমেছি। আল্পনাটাও সেদিকে লক্ষ্য রেখেই করা।
২০১৮ সালে সরকারের জারি করা পরিপত্র পুনর্বহালসহ চার দফা দাবিতে ১ জুলাই থেকে টানা আন্দোলনে আছেন শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশীরা। যদিও গতকাল থেকে তারা এক দফায় নেমে আসেন। শনিবার ঘোষণায় এই আন্দোলনের নাম দেন ‘বাংলা ব্লকেড’। একইসঙ্গে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন কর্মসূচিও পালন করছেন তারা।
গতকাল রোববার স্থবির হয়ে পড়ে রাজধানী ঢাকা। এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় এবং গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় সড়ক-মহাসড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। আজও শিক্ষার্থীদের এ কর্মসূচি চলবে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত সরেজমিনে শাহবাগ, সায়েন্স ল্যাব, বাংলামোটর, কারওয়ান বাজার সার্ক ফোয়ারা, ফার্মগেট এলাকা পরিদর্শন করে দেখা গেছে, শাহবাগ অভিমুখে সড়কগুলোতে কোনো যানবাহন নেই। যদিও কেউ সড়কে উঠছে, সঙ্গে সঙ্গে আটকে দেওয়া হচ্ছে তাকে। করা হচ্ছে জিজ্ঞাসাবাদ। অসুস্থ ও গণমাধ্যমকর্মী বাদে কাউকে যানে চলাচল করতে দিচ্ছেন না কোটাবিরোধীরা।
সচিবালয় থেকে শাহবাগ হয়ে বাংলামোটর দিয়ে ফার্মগেট পর্যন্ত, সায়েন্স ল্যাব থেকে নিউমার্কেট হয়ে পলাশি দিয়ে শাহবাগ পর্যন্ত, সায়েন্স ল্যাব থেকে পান্থপথ হয়ে কারওয়ান বাজার পর্যন্ত ও গ্রিন রোড হয়ে ফার্মগেট পর্যন্ত সড়ক ফাঁকা।