বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, প্রোভিসির পদত্যাগ
শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পদত্যাগ করেছেন গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ও প্রোভিসি। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯ শিক্ষক-কর্মকর্তাকে অব্যাহতি দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) বিকেল ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ১৫ দফার দাবির শেষ দিনে প্রশাসনিক ভবনের সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন। শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এ কিউ এম. মাহবুব বিশ্ববিদ্যালয়ের নয় শিক্ষক-কর্মকর্তাকে অব্যাহতির সুপারিশ করেন। পরে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ভিসি নিজেই পদত্যাগ করেন।
এর আগে বিকেল ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. সৈয়দ সামসুল আলম ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেন। তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব বরাবর লিখিতভাবে পদত্যাগ করেন।
যাদের অব্যাহতির সুপারিশ করা হয় তাঁরা হলেন প্রক্টর ড. মো. কামরুজ্জামান, সহকারী প্রোক্টর গাজী মোহাম্মদ মাহবুব, পার্থ সারথী রায়, নিরাপত্তা কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম, বাংলা বিভাগের শিক্ষক জাকিয়া সুলতানা মুক্তা, সহকারী রেজিস্ট্রার নজরুল ইসলাম হীরা, বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক এমদাদুল হক সোহাগ, অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের শিক্ষক সোলাইমান হোসেন মিন্টু এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তা শেখ তারেক।
তবে এ বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. দলিলুর রহমানের মোবাইল ফোনে কল করা হলে মোবাইল নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগে বাধ্য করা, কর্মকর্তা-কর্মচারী ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের বিপক্ষে ও শেখ হাসিনার পক্ষে মিছিল দেওয়ার অভিযোগ এনে গত শনিবার (১৭) ১৫ দফা দাবি জানায় শিক্ষার্থীরা। ওই ১৫ দফার মধ্যে দুই নং দফায় শিক্ষার্থীদের বাধা প্রদান ও বিরুদ্ধাচারণকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৈয়দ সামসুল আলম, নিরাপত্তা কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম, বাংলা বিভাগের শিক্ষক জাকিয়া সুলতানা মুক্তা, সহকারী রেজিস্ট্রার নজরুল ইসলাম হীরা, বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনিটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক এমদাদুল হক সোহাগ, অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের শিক্ষক সোলাইমান হোসেন মিন্টু এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তা শেখ তারেককে বহিষ্কার করার দাবি জানানো হয়।