আচরণবিধি লঙ্ঘন : জাহাঙ্গীরের মা জায়েদা খাতুনকে শোকজ
নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে গাজীপুর সিটি করপোরেশন (গাসিক) নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র পদপ্রার্থী ও বরখাস্ত সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের মা জায়েদা খাতুনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। গতকাল বৃহস্পতিবার (১১ মে) নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়।
চিঠির তথ্য অনুযায়ী, নির্বাচনি প্রচারণায় হ্যান্ডবিল পোস্টারে নিজের ছেলে জাহাঙ্গীর আলমের ছবি ব্যবহার করে আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন জায়েদা। এজন্য কেন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে সেই কারণ দর্শানোর অনুরোধ করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।
দুই বছর আগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে কটূক্তির জন্য আওয়ামী লীগ তৎকালীন মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে দল থেকে বহিষ্কার করে। পরে তাকে মেয়র পদ থেকেও বরখাস্ত করে সরকার। চলতি বছরের জানুয়ারিতে জাহাঙ্গীরকে ক্ষমা করে দলে ফিরিয়ে নেয় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। এর পাঁচ মাসের মধ্যে দলে সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে মেয়র পদে ভোট করতে মনোনয়নপত্র জমা দেন এই আওয়ামী লীগ নেতা। তবে এবারের ভোটে নিজের পাশাপাশি মায়ের নামেও মনোনয়নপত্র কেনেন সাবেক এই মেয়র।
গত ৩০ এপ্রিল মেয়র পদপ্রার্থীদের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ে জাহাঙ্গীর আলমের প্রার্থিতা বাতিল করেন গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম। আপিলে গিয়ে প্রার্থীতা ফিরে পাননি তিনি। তবে জাহাঙ্গীরের মা ভোটের মাঠের লড়াইয়ে থেকে যান।
এর আগে আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের মেয়র পদপ্রার্থীকে ঢাকায় তলব করে ইসি। আজমত উল্লাকে আট দিন সময় দেওয়া হলেও জায়েদা খাতুনকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কারণ দর্শাতে বলেছে সাংবিধানিক এ সংস্থা।
ফরিদুল ইসলামের পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, প্রতীক বরাদ্দের পর লিফলেট ও হ্যান্ডবিলে সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীরের ছবি ব্যবহার করছেন স্বতন্ত্র মেয়র পদপ্রার্থী জায়েদা খাতুন, যাতে সিটি করপোরেশন নির্বাচন বিধিমালা ২০১৬ বিধি ৮ এর ৫ লঙ্ঘন করছেন। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নিজের ছবি ছাড়া অন্য কোনো ছবি ব্যবহার করতে পারবে না। তবে শর্ত থাকে রাজনৈতিক দলের মনোনীত হলে দলীয় প্রধানের ছবি ব্যবহার করতে পারবেন। এছাড়া আচরণবিধি লঙ্ঘন করলে ছয় মাস কারাদণ্ড অথবা ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত হওয়ার বিধান রয়েছে। তাই কেন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তা আগামী ২৪ ঘণ্টর মধ্যে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে কারণ দর্শানোর জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।