কুমিল্লা সিটি নির্বাচন : ভোট দিলেন রিফাত ও কায়সার
কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচনে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ চলছে। এরই মধ্যে ভোট দিয়েছেন আওয়ামী লীগের মেয়রপ্রার্থী আরফানুল হক রিফাত ও স্বতন্ত্র প্রার্থী নিজাম উদ্দিন কায়সার।
১১ নম্বর ওয়ার্ডের ভিক্টোরিয়া কলেজিয়েট স্কুল কেন্দ্রে আজ বুধবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে নৌকা প্রতীকের আরফানুল হক রিফাত এবং এর কিছু পরে ঘোড়া প্রতীকের নিজাম উদ্দিন কায়সার ভোট দেন। একই কেন্দ্রে কুমিল্লা সদর আসনের সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার ভোট দেবেন বলে জানা গেছে।
অন্যদিকে, ইভিএম জটিলতায় বিভিন্ন কেন্দ্রে ভোটারেরা ভোট দিতে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত স্বতন্ত্র প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু।
বহুলপ্রত্যাশিত এ ভোট কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) প্রথম পরীক্ষা। কুমিল্লা সিটির ভোটকে কেন্দ্র করে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে ইসি। বেশ কঠোর মনোভাব পোষণ করতেও দেখা গেছে ইসিকে। এটিকে ইসির সক্ষমতা ও গ্রহণযোগ্যতা প্রমাণের বড় সুযোগ বলে মনে করছেন নির্বাচন সংশ্লিষ্টরা। ফলে, ইসির জন্য এ নির্বাচন একটি চ্যালেঞ্জ।
যদিও স্থানীয় সংসদ সসদ্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারকে নির্বাচনি এলাকা ছাড়তে বলার পরও তিনি এলাকা ছাড়েননি। বাহারের এলাকা ছাড়া নিয়ে অসহায়ত্ব প্রকাশ করতে দেখা গেছে ইসিকে। বাহার ইস্যুকে কেন্দ্র করে কেউ কেউ বলার চেষ্টা করছেন, বাহারই ইসির প্রথম ধাক্কা।
কুমিল্লা সিটি ভোটকে ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গন উত্তপ্ত। চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা ও ভোট সুষ্ঠু করতে ইসিও তৎপর।
এদিকে, কুমিল্লার ভোটে সাধারণ ছুটি ঘোষণা না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রার্থীরা।
কুমিল্লা সিটির ভোট নিয়ে প্রধান দুই রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ-বিএনপির ভোটারেরা দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েছেন। এ পরিস্থিতিতে সদ্য সাবেক মেয়র বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত মনিরুল ইসলাম সাক্কুর হ্যাটট্রিক বিজয় হবে, না কি প্রথম বারের মতো আওয়ামী লীগের প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত জয়ের মুকুট পাবেন, তা দেখার জন্য অপেক্ষা করতে হবে আজ রাতে ভোটের ফলাফল পাওয়া পর্যন্ত।
কুমিল্লা সিটির ভোটের সঙ্গে আজ পাঁচটি পৌরসভা, চারটি উপজেলা পরিষদ এবং দেড়শতাধিক ইউনিয়ন পরিষদের ভোটও অনুষ্ঠিত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ইসির জনসংযোগ পরিচালক এস এম আসাদুজ্জামান।
এবারের কুমিল্লায় চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার নির্বাচনকে ঘিরে কেন্দ্র দখল কিংবা পেশিশক্তির ব্যবহারসহ কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা বা সহিংসতা যাতে ঘটতে না পারে, সেজন্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চার সহস্রাধিক সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। পুরো সিটিকে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেওয়া হয়েছে।