কুলিয়ারচরে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় আহত ১০
কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে দুই পক্ষের নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় নারীসহ কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছে। আজ সোমবার দুপুরে পাঁচ-ছয়টি বাড়িঘর ভাঙচুরসহ লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে বলেও ক্ষতিগ্রস্তদের অভিযোগ।
ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার ছয়সুতি ইউনিয়নের ধোপাখালি চকবাজার এলাকায় কালু হাজীবাড়ি ও ধরবাড়ির লোকজনের মধ্যে।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। সংঘর্ষের পর আহতদের উদ্ধার করে কুলিয়ারচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও বাজিতপুরের ভাগলপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায় তাদের স্বজনরা। বর্তমানে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। পরবর্তী যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, ৪নং ওয়ার্ডের বিজয়ী ও পরাজিত মেম্বার পদপ্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে এই সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে উভয় পক্ষ দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে একে অন্যের ওপর আক্রমণ করে। এতে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত ধরবাড়ির কাসেম মিয়া, রতন মিয়া ও খোকন মিয়াকে বাজিতপুরের ভাগলপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সংঘর্ষ চলাকালে কালু হাজীবাড়ির লোকজন পাঁচ-ছয়টি বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটায় বলে অভিযোগ করে ধরবাড়ির লোকজন।
এদিকে দুপুরে একই ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের নোয়াগাঁও গ্রামের মৌলভী বাড়িতে হামলা চালায় ৯নং ওয়ার্ডের পরাজিত মেম্বার পদপ্রার্থী হারুন মিয়ার লোকজন। ৯নং ওয়ার্ড থেকে মেম্বার পদে বিজয়ী হয়েছেন মৌলভী বাড়ির মো. রফিক মিয়া। এই ক্ষোভে হামলা চালিয়ে ব্যবসায়ী পাভেল মিয়ার বাড়িসহ বেশ কয়েকটি বাড়িঘর ভাঙচুর করে হামলাকারীরা। এ সময় নগদ টাকাসহ স্বর্ণালংকারও লুটে নেয় বলে অভিযোগ করে ভুক্তভোগীরা।
কুলিয়ারচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা জানান, খবর পেয়ে উভয় এলাকায় পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। তিনি নিজে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। পরবর্তী যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবিলায় সেসব এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি পুরোপুরি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে আছে বলেও জানিয়েছেন ওসি।