কুষ্টিয়ায় নির্বাচনি সহিংসতায় প্রার্থীসহ আহত ৬
কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বটতৈল ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মিজানুর রহমান মিন্টু ফকিরের মোটরসাইকেল শোভাযাত্রায় নৌকার সমর্থকদের হামলায় প্রার্থীসহ অন্তত ছয়জন আহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার সকালে এ হামলার ঘটনা ঘটে। আহতদের কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হামলায় আহত সাইফুল ইসসলাম ও স্থানীয়দের দেওয়া তথ্যে জানা যায়, বেলা ১১টার দিকে বৈটতল ইউনিয়নের খাজানগর এলাকা থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী মিজানুর রহমান ওরফে মিন্টু ফকিরের (ঘোড়া প্রতীক) নেতৃত্বে একটি মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা বের হয়। দুপুর পৌনে ১২টার দিকে বটতৈল ইউনিয়নের দোস্তপাড়ায় পৌঁছামাত্র ওই ইউনিয়নের নৌকার প্রার্থী এম এ মোমিন মণ্ডলের কর্মী-সমর্থকরা দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোটা, ইট-পাটকেল নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী মিন্টু ফকির ও তার কর্মী সমর্থকদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে মিন্টু ফকিরসহ অন্তত ছয়জন আহত হন। তাদের কয়েকজনকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী মিন্টু ফকিরের মাথায় আঘাত লাগায় তার অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে।
এদিকে এই ঘটনার প্রতিবাদে স্বতন্ত্র প্রার্থী মিন্টু ফকিরের বিক্ষুদ্ধ কর্মী-সমর্থকরা লাঠিসোটাসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে কুষ্টিয়া-আলমডাঙ্গা সড়ক অবরোধ করে। তাদের অভিযোগ নৌকার প্রার্থী এম এ মোমিন মণ্ডলের নির্দেশেই এই হামলা চালানো হয়েছে। প্রায় এক ঘণ্টা সড়ক অবরোধ থাকার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেখানে প্রথমে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। এতে বিক্ষুব্ধ জনগণ পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকে। এ সময় পরিস্থিতি শান্ত করতে পুলিশ প্রায় শতাধিক রাউন্ড ফাঁকা গুলিবর্ষণ এবং বেশকয়েকটি টিয়ার গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করলে এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। প্রায় আধাঘণ্টা পুলিশের সঙ্গে এলাকাবাসীর ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়। একপর্যায়ে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়। এ ঘটনায় মহিলাসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাব্বিরুল আলম বলেন, বর্তমানে বটতৈল এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ও পরবর্তী সহিংসতা এড়াতে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে।