কুসিক নির্বাচন : ইসির সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়েনি উঁকির দৃশ্য
কুমিল্লা সিটির রেয়াজ উদ্দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের গোপন কক্ষে দুজন, আর দৈয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের নারীদের বুথে উঁকি দিচ্ছেন পোলিং কর্মকর্তা—এমন ছবি গণমাধ্যমে এসেছে। তবে, ইসি বলছে—সিসি ক্যামেরায় ‘আপাতত’ এসব দৃশ্য দেখা যায়নি, তদন্ত চলছে। যদিও বিষ্ণপুরের একটি কেন্দ্রে প্রভাব বিস্তারের যে অভিযোগ, তার সত্যতা পাওয়া গেছে এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারেও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে—বলছে ইসি।
আজ বুধবার বিকেলে পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের সমন্বয়ক ইসির আইডিইএ (২য় পর্যায়) প্রকল্পের উপপ্রকল্প পরিচালক (কমিউনিকেশন) স্কোয়াড্রন লিডার মো. শাহরিয়ার আলম এনটিভি অনলাইনের কাছে এসব দাবি করেন।
কুমিল্লা সিটিসহ দেশের অন্যান্য নির্বাচনে মনিটরিং করতে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সিসি ক্যামেরা পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন করেছে ইসি। সেখান থেকে ইসি সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে সব পর্যবেক্ষণ করছে।
মো. শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘কুমিল্লা নগরীর ৫নং ওয়ার্ডের কেন্দ্র রেয়াজ উদ্দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভোটকেন্দ্রের গোপন কক্ষে দুজনকে দেখা যাওয়ার অভিযোগ আছে। যদিও সিসি ক্যামেরায় আমরা এর সত্যতা পাইনি। এ ছাড়া পোলিং কর্মকর্তার উঁকি দেওয়ার দৃশ্যও আমরা সিসি ক্যামেরায় এখনও দেখতে পাইনি। যদিও আমরা এসব নিয়ে তদন্ত করছি। ঘটনা সত্য হলে হয়তো এর প্রমাণ পাওয়া যাবে।’
মো. শাহরিয়ার আলম আরও বলেন, ‘আমরা কুমিল্লার বিষ্ণপুরের এক নম্বর ওয়ার্ডের একটি কেন্দ্রে একজন ব্যক্তি ভোটারদের ওপর প্রভাব বিস্তার করছিলেন। এই অভিযোগের সত্যতা পেয়েছি। তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ইসি থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তাঁকে গ্রেপ্তার করা হবে।’
মো. শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘যেসব অভিযোগ উঠবে, তা খতিয়ে দেখার জন্য প্রতিটি ভোট কক্ষে একটি করে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। কিন্তু, ভোট প্রদানের স্থানকে ক্যামেরার বাইরে রাখা হয়েছে। কুমিল্লা সিটির জন্য ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে ৭৯৭টি। নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে কোডের মাধ্যমে আমরা প্রতিটি কেন্দ্রে মনিটরিং করতে পারব।’
এর আগে সকালে ঝড়-বৃষ্টির মধ্যেই কুসিকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। ইসির নির্দেশনা অনুযায়ী গোপনকক্ষে শুধুমাত্র ভোটার থাকার কথা।