ঠাকুরগাঁও-৩ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উপনির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কম
ঠাকুরগাঁও-৩ শূন্য আসনের (পীরগঞ্জ ও রাণীশংকৈল উপজেলা) উপ-নির্বাচনের মোট ১২৮টি কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন ইভিএম এ শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। ঘড়ির কাটায় সাড়ে ৮টা বেজে যাবার সাথে সাথেই শুরু হয় ভোট গ্রহণ । তবে সকাল থেকেই কেন্দ্র গুলোতে ভোটারদের উপস্থিতি কম দেখা গেছে।
নির্বাচনী এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে মাঠে আইনশৃঙ্খলার বাহিনীর পাশাপাশি নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও প্রতিটি কেন্দ্রে আনসার সদস্যরা দ্বায়িত্ব পালন করছেন। নির্বাচন সুষ্ঠু , শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর করতে সকলের সহযোগিতা কামনা এবং কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান ঠাকুরগাঁও- ৩ আসনের রিটার্নিং অফিসার ও রংপুর বিভাগীয় আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা জি এম সাহাতাব উদ্দিন।
বিএনপির এমপি জাহিদুর রহমান ঠাকুরগাঁও-৩ সংসদীয় আসন থেকে পদত্যাগ করায় শূন্য হয় এই আসনটি। নির্বাচনে জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকে হাফিজ উদ্দিন আহমেদ ও ১৪ দলের শরিকদল ওয়ার্কার্স পার্টির হাতুরি প্রতীকে ইয়াসিন আলিসহ ৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ঠাকুরগাঁও-৩ আসনটি পীরগঞ্জ ও রাণীশংকৈল এই দুই উপজেলার ১৮টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভা নিয়ে গঠিত। এই আসনে মোট ভোটার ৩ লক্ষ ২৪ হাজার ৭৩৯ জন।
এদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে আমাদের প্রতিনিধি জানান :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) উপ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে। সকাল সাড়ে ৮টা থেকে ইভিএম-এর মাধ্যমে শুরু হওয়া ভোটগ্রহণ চলবে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত। আজ বুধবার সকাল থেকে নারী ও পুরুষ ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে ভোটকেন্দ্রে আসছেন। তবে কেন্দ্রগুলোতে ভোটারদের উপস্থিতি খুবই কম। নেই উৎসবমুখর পরিবেশ। নির্বাচন সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন বেলা বাড়ার সাথে সাথে বাড়তে পারে ভোটারের উপস্থিতি।
নির্বাচনে মোট ৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এরা এলন বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা উকিল আব্দুস সাত্তার (কলারছড়ি), জাতীয় পার্টির আব্দুল হামিদ ভাসানী (লাঙ্গল), জাকের পার্টির জহিরুল হক জুয়েল (গোলাপ ফুল) ও বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা আবু আসিফ আহমেদ (মোটরগাড়ি)। তবে নির্বাচনে আওয়ামী লীগ এ আসনটিকে উন্মুক্ত ঘোষণা করায় এখানে আওয়ামী লীগের দলীয় কোনো প্রার্থী নেই। এছাড়াও বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা আবু আসিফ আহমেদ গত শুক্রবার থেকে নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানিয়েছে তার পরিবার।
দুই উপজেলার ১৭টি ইউনিয়নের মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৭৩ হাজার ৩১৯ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৯৭ হাজার ৫০৩ ও নারী ভোটারের সংখ্যা ১ লাখ ৭৫ হাজার ৮১৫ জন। এছাড়াও তৃতীয় লিঙ্গের একজন ভোটার রয়েছে।
নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষায় অফিসারসহ ১ হাজার ১ শত পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকার পাশাপাশি ৪ প্লাটুন বিজিবি সদস্য, র্যাবের ৯টি টিম, পুলিশের ৯টি মোবাইল টিম ও ৪টি স্ট্রাইকিং টিম মোতায়েন রয়েছে। প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবে ৩ জন পুলিশ, অস্ত্রধারী ২ জন আনসার, লাঠিধারী ১০ জন আনসার ও ২ জন গ্রাম পুলিশ। উপ-নির্বাচনে ১৭টি ইউনিয়নে ১৭ জন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও ২ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছেন।