নারায়ণগঞ্জ ইসির সর্বোত্তম নির্বাচন : ইসি মাহবুব
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচন বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদে সর্বোত্তম নির্বাচন বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার।
আজ রোববার নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের কয়েকটি ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন শেষে লিখিত বক্তব্যে ইসি মাহবুব তালুকদার একথা বলেন।
লিখিত বক্তব্যে ইসি মাহবুব বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জ আমাদের কার্যকালের সর্বশেষ সিটি নির্বাচন। এটি ছিল আমার অনেক প্রত্যাশার স্থান। কারণ, আমি এরই মধ্যে বলেছি, যার শেষ ভালো, তার সব ভালো। নাসিক নির্বাচনে আমি চারটি কেন্দ্রের ১৪টি বুথ পরিদর্শন করেছি। এই নির্বাচনে উল্লেখযোগ্য কোনো সংঘর্ষ ও সন্ত্রাসের ঘটনা ঘটেনি। বিগত পাঁচ বছরে যতগুলো সিটি নির্বাচন হয়েছে, আমার বিবেচনায় আমাদের প্রথম কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচন ও সর্বশেষ নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন সর্বোত্তম।’
আলোচিত এই নির্বাচন কমিশনার আরও বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচন সম্পর্কে আমি কিছুটা বিস্মিত। একজন মাননীয় সংসদ সদস্য আচরণবিধি লঙ্ঘন করে প্রচার চালিয়েছেন। কিন্তু, আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে তাঁকে কোনো চিঠি পর্যন্ত দেওয়া হয়নি। বরং বলা হয়েছে, তিনি আচরণবিধি লঙ্ঘন করলেও শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেননি। আচরণবিধি ভঙ্গ করলে শাস্তিযোগ্য অপরাধ কিংবা শাস্তিহীন অপরাধের বিভাজন কোথায় আছে? তাহলে অন্যান্য মাননীয় সংসদ সদস্যদের আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে চিঠি দেওয়া হলো কেন? এসব বিষয় নির্বাচনে নিরপেক্ষতার লক্ষণ নয়।’
নির্বাচনকালীন ফৌজদারি মামলায় গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে ইসি মাহবুব বলেন, ‘পত্রিকামতে নারায়ণগঞ্জে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর বিভিন্ন কারণে কিছু সংখ্যক মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কিন্তু, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করেও এ সম্পর্কে কোনো সংখ্যা জানা যায়নি। নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে এসব বিষয়ে কোনো তথ্য নেই। এমনকি, অন্যান্য নির্বাচনকালে সহিংসতায় নিহতদের কোনো তথ্য নেই। আমরা একসময়ে তফসিল ঘোষণা থেকে নির্বাচন পর্যন্ত নির্বাচন সংশ্লিষ্ট, বিশেষত পোলিং এজেন্টদের কাউকে গ্রেপ্তার করতে বারণ করেছি। তবে ফৌজদারি মামলা বা তাৎক্ষণিক আমলযোগ্য অপরাধ হলে ভিন্ন কথা। আমি নিজে সবসময় গায়েবি মামলার বিরোধীতা করেছি। নির্বাচনকালে গায়েবি মামলার হিড়িক পড়ে যায় কেন, তা এক প্রশ্ন। এই নির্বাচনকালেও পুরোনো মামলায় আটক অব্যাহত রয়েছে, যা দুঃখজনক।’