পুলিশ প্রশাসনকে নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে : সিইসি
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার লক্ষ্যে পুলিশ প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আওয়াল বলেছেন, আপনাদেরকে নিরপেক্ষভাবে আন্তরিকতার সাথে দায়িত্ব পালন করতে হবে।
জেলা শহরের শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার অডিটোরিয়ামে আজ বুধবার (১০ মে) সকালে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আওয়াল একথা বলেন। গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীরা মতবিনিময় সভায় অংশ নেন।
নির্বাচনে প্রার্থীদের আচরণবিধি মেনে চলার নির্দেশনা দিয়ে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, আমাদের নির্বাচনি সংস্কৃতিতে অনেক কালো ও অপসংস্কৃতি রয়ে গেছে। একদিন হয়তো আমাদের ও আপনাদের সকলের চেষ্টায় অহিংসভাবে সুশৃঙ্খলভাবে নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে সকলে ভোট দিতে পারবে।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর, নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম, ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার সাবিরুল ইসলাম, গাজীপুর জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান।
এসময় এবারের গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের অংশ নেওয়া মেয়র, কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
নির্বাচনে ৫৭টি ওয়ার্ডে ৪৮০টি ভোট কেন্দ্র ৩ হাজার ৪৯৭টি ভোট কক্ষ থাকবে। গাজীপুর সিটি করপোরেশনে মোট ভোটার সংখ্যা ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৪৭৬ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ৫ লাখ ৯২ হাজার ৭৬২ জন এবং মহিলা ভোটার ৫ লাখ ৮৬ হাজার ৬৯৬ জন।
এ নির্বাচনে ৪৮০ জন প্রিজাইডিং অফিসার, ৩ হাজার ৪৯৭ জন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ও ৬ হাজার ৯৯৪ জন পোলিং অফিসার সহ ১০ হাজার ৯৭১ জন ভোট গ্রহণকারী কর্মকর্তা থাকবে।
নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা হলেন- আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী আজমত উল্লা খান (নৌকা), জাতীয় পার্টি এমএম নিয়াজ উদ্দিন (লাঙ্গল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ গাজী আতাউর রহমান (হাতপাখা), জাকের পার্টি মো. রাজু আহমেদ (গোলাপ ফুল), গণফ্রন্টের আতিকুল ইসলাম (মাছ), এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক জাহাঙ্গীর আলমের মা জায়েদা খাতুন (টেবিল ঘড়ি), সরকার শাহনুর ইসলাম (হাতি) ও হারুন অর রশীদ (ঘোড়া)।