মেয়রপ্রার্থী আব্দুল খালেকের নগদ টাকা পাঁচ বছরে বেড়ে প্রায় ৪৮ গুন
খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র পদপ্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেকের ২০১৮ সালে নগদ টাকার পরিমাণ ছিল ৯ লাখ ৭৮ হাজার ৭৫০ টাকা। ২০২৩ সালে তাঁর নগদ টাকার পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে চার কোটি ৭৯ লাখ এক হাজার ১৭০ টাকা। অর্থাৎ, পাঁচ বছরে তার নগদ টাকা বেড়েছে ৪৭ দশমিক ৯৪ গুন। যদিও তার স্ত্রীর ক্ষেত্রে কমেছে। একই সময়ে আব্দুল খালেকের স্ত্রীর নগদ টাকা কমেছে প্রায় দ্বিগুন।
খুলনা সিটি করপোরেশনের রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে জমা দেওয়া হলফনামা ও পূর্বের হলফনামা থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
২০১৮ সালে মেয়র নির্বাচনে দেওয়া হলফনামায় তালুকদার আব্দুল খালেকের নগদ টাকার পরিমাণ কমে মাত্র ৯ লাখ ৭৮ হাজার ৭৫০ টাকা, আর স্ত্রীর নগদ টাকা ছিল দুই কোটি ১৫ লাখ ৮৬ হাজার ৭৯৪ টাকা।
২০২৩ সালে মেয়র নির্বাচনে হলফনামায় দেওয়া তথ্য বলছে, তালুকদার আব্দুল খালেকের নগদ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে চার কোটি ৭৯ লাখ এক হাজার ১৭০ টাকা। এ সময়ে তার স্ত্রীর নগদ টাকা আছে ৭৩ লাখ ৬২ হাজার ২৬৯ টাকা। অর্থাৎ, ২০১৮ সাল থেকে এ পর্যন্ত স্ত্রীর নগদ টাকা কমেছে এক দশমিক ৯৩ গুন।
হলফনামায় বলা হয়, তালুকদার আব্দুল খালেকের চারটি ব্যাংকে জমাকৃত অর্থের পরিমাণ এক কোটি ১৮ হাজার ১৩৪ টাকা, সঞ্চয়পত্র ১০ লাখ এফডিআর ১৮ লাখ টাকা, তার স্ত্রীর ব্যাংকে রয়েছে ৯৫ লাখ চার হাজার ৪৭৮ টাকা, সঞ্চয়পত্র ৫০ লাখ টাকা।
তালুকদার আব্দুল খালেকের দুটি গাড়ির একটি লেকসাস, যার মূল্য ৪৪ লাখ ও মাইক্রো ১৪ লাখ ৮০ হাজার ২৮৯ টাকা। আর স্ত্রী টয়েটা ল্যান্ড ক্রুজার রয়েছে, যার দাম ৭৬ লাখ ৯০ হাজার টাকা। তালুকদার আব্দুল খালেক ও তার স্ত্রী নামে সোনালী ব্যাংকে ঋণ দেখানো হয়েছে এক কোটি ৩৪ লাখ ৩০ হাজার ৭৭৬ টাকা।
তালুকদার আব্দুল খালেক পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত জমি ২৩ বিঘা, ক্রয় সূত্রে তিন দশমিক ২১ একর, অকৃষি জমি তিন কাঠার মূল্য পাঁচ লাখ ৭৯৯ টাকা, স্ত্রীর নামে থাকা রাজউক পূর্বাচল প্লটের মূল্য ২২ লাখ ৮০০ টাকা। আব্দুল খালেক ও তার স্ত্রীর দ্বৈত মালিকনার একটি জমিসহ বাড়ির মূল্য চার কোটি ২৪ লাখ ২১ হাজার টাকা। এ ছাড়া স্ত্রীর আরও একটি বাড়ি আছে, যার জমিসহ মূল্য ৩১ লাখ পাঁচ হাজার টাকা। এ ছাড়া বৈবাহিকসূত্রে ২৫ ভরি স্বর্ণালংকার দেখানো হয়েছে।
আগামী ১২ জুন ইভিএমের মাধ্যমে খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এই ভোটে মেয়র পদে লড়ছেন আরও দুজন। তাদের মধ্যে জাতায় পার্টির মেয়র পদপ্রার্থী শফিকুল ইসলাম মধুর বার্ষিক আয় অন্য দুই প্রার্থীর থেকে বেশি। আর শিক্ষা অর্জনের দিক দিয়ে এগিয়ে আছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মো. আ. আউয়াল।