সিরাজগঞ্জে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর হামলা, আহত ৫
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর হামলা ও পোস্টার ছেঁড়ার অভিযোগ উঠেছে নৌকা প্রার্থীর সমর্থদের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
গতকাল মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার দেশীগ্রাম ইউনিয়নের কুমাল্লু গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে খবর পেয়ে তাড়াশ থানা পুলিশ ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
স্বতন্ত্র প্রার্থী জ্ঞানেন্দ্রনাথ বসাক জানান, দেশীগ্রাম ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ প্রার্থী (নৌকা) আব্দুল কুদ্দুস সরকারের কর্মী মোশারফ হোসেন, আব্দুল মতিন, আবু মুছা ও জিয়াউর রহমানের নেত্বতে ১৫ থেকে ১৬ জনের বাহিনী রাতে লোহার রড ও হাসুয়া নিয়ে কুমাল্লু গ্রামে পোস্টার ছিঁড়ে ফেলে। এ সময় তার কর্মী ও সর্মথকেরা প্রতিবাদ করায় তফিজ উদ্দিনের চায়ের দোকান ভাঙচুর ও মারধর করে। পরে সবাই একত্রিত হয়ে তিনজনকে আটক করে। এতে তাদের পাঁচজন সর্মথক আহত হয়েছে।
আহত তফিজ উদ্দিনসহ একাধিক স্বতন্ত্র প্রার্থী সমর্থকেরা জানায়, আমরা পোস্টার ছেঁড়ার প্রতিবাদ করায় নৌকার প্রার্থীর লোকজন আমাদের ওপর হামলা চালিয়ে দোকান ভাঙচুর করে। এ সময় আমাদের লোকজন তাদের ধাওয়া দিলে সবাই পালিয়ে গেলেও তিনজনকে আটক করি পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য কিন্তু নৌকার প্রার্থী এসে তাদের বিচার করার কথা বলে নিয়ে যান।
অভিযোগ অস্বীকার করে আওয়ামী লীগ প্রার্থী (নৌকা) আব্দুল কুদ্দুস সরকার দাবি করে বলেন, ‘আমি অন্য একটি গ্রামে পথসভায় ছিলাম। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে আমার লোকজনদের উদ্ধার করে সবাইকে শান্ত থাকার জন্য বলি। স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকরা আমার কর্মীদের আটকে রেখে নিজেরা ভাঙচুর চালিয়েছে ও নৌকার পোস্টার ছিঁড়েছে।’
তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফজলে আশিক জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ বিষয়ে কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
তাড়াশ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোছা. লায়লা জান্নাতুল ফেরদৌস জানান, খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে উভয়পক্ষের সঙ্গে কথা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। এছাড়া তাদের উপজেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।