পরিবেশ ডিমান্ড করলে আমরা আরও কঠোর হব : ইসি রাশেদা
সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পরিবেশ-পরিস্থিতি ডিমান্ড করলে নির্বাচন কমিশন (ইসি) আরও কঠোর হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে আজ সোমবার (২৯ মে) নির্বাচন ভবনে নিজের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রাশেদা সুলতানা এ কথা জানান।
জাতীয় নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে রাশেদা সুলতানা বলেন, ‘যদি পরিবেশ-পরিস্থিতি ডিমান্ড করে আরও কঠোর হতে, তাহলে আমরা আরও কঠোর হব। পরিবেশ পরিস্থিতি যদি বলে এভাবে চললেই হবে, তাহলে আমরা এভাবেই চলব। এটা পরিবেশ-পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে।’
কমিশনের একটাই ইচ্ছা জানিয়ে রাশেদা সুলতানা বলেন, ‘আমরা সুষ্ঠু, সুন্দর, অবাধ ও নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন করব। যে নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে পারবে, জনগণ বলতে পারবে- আমার ভোটটা আমি দিয়েছি।’
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন কেমন হয়েছে জনগণ তা দেখেছে জানিয়ে রাশেদা সুলতানা বলেন, ‘জনগণ এর রায় দেবে। আমরা সব সময় চেয়েছি, এখনও চেয়েছি, ভবিষ্যতে চাইব- আমাদের ইলেকশন যতগুলো আমরা করব, সব যেন সুষ্ঠু হয়। মানুষ এসে যেন ভোট দিয়ে চলে যেতে পারে। এটাই আসলে আমাদের প্রধান উদ্দেশ্য। শুধু সিটি করপোরেশন ইলেকশন কেন? যে কয়টা বাকি আছে ও জাতীয় নির্বাচন- আমরা এই নীতিতে থাকব। এটাই আমরা করব৷’
গাজীপুর বাদ দিয়ে বাকি চার সিটি নির্বাচনকে অনেকটা একপাক্ষিক বলা হচ্ছে- এমন নির্বাচনে তৃপ্তি কতটুকু, জানতে চাইলে রাশেদা সুলতানা বলেন, ‘তৃপ্তি-অতৃপ্তি প্রকাশের তেমন কোনো বিষয় নেই আমাদের। কেননা নির্বাচনে কেউ আসবে, কেউ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে, কেউ করবে না, এটা সম্পূর্ণ তাদের ব্যাপার। যিনি প্রার্থী হতে চান বা চান না এটা সম্পূর্ণ নিজস্ব ম্যাটার (বিষয়)। নির্বাচন কমিশনের কাউকে তো আনার সুযোগ ওভাবে নেই। এলে অবশ্যই আমরা ভালো একটা প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন পাব। এলে আনন্দ পাব বেশি। না এলেও ইলেকশনগুলো করতে হবে। কারণ আইনি বাধ্যবাধকতা আছে। যার ফলে তৃপ্তি-অতৃপ্তির সুযোগ নেই। যারা নির্বাচনে আসছেন না তারা আসুন। এলে অসুবিধা তো নেই।’
জাতীয় নির্বাচনে ভোটকক্ষে সিসি ক্যামেরা ব্যবহার হবে কি না, সে বিষয় নিয়ে এখনও বসা হয়নি বলেও জানান এই কমিশনার।