খুলনায় প্রার্থীদের সঙ্গে সিইসির মতবিনিময় শুরু
খুলনা সিটি করপোরেশনে (কেসিসি) ভোট আগামী ১২ জুন। এই সিটিতে মেয়র, কাউন্সিলর ও নারী কাউন্সিলর পদপ্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় শুরু করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আওয়াল।
আজ মঙ্গলবার (৩০ মে) খুলনা শিল্পকলা একাডেমিতে সকালে শুরু হয় এই মতবিনিময় সভা। এতে সভাপতিত্ব করছেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরী।
মতবিনিম সভায় নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আহসান হাবিব খান, সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম, পুলিশ কমিশনার মাসুদুর রহমান ভূঁইয়া প্রমুখ উপস্থিত আছেন।
জানা গেছে, মেয়র পদপ্রার্থী তালুকদার আবদুল খালেক, শফিকুল ইসলাম মধু, হাফেজ আব্দুল আওয়ালস অন্যান্য পদপ্রার্থীরা তাদের বক্তব্য তুলে ধরবেন।
এদিকে, কেসিসিতে ২৮৯টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ১৬১টিকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তা ও খুলনা মহানগর পুলিশ (কেএমপি) সূত্র জানিয়েছিল, খুলনা মহানগরীর ৩১টি ওয়ার্ডের অধীনে ২৮৯টি ভোটকেন্দ্র রয়েছে ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এসব কেন্দ্রগুলোকে গুরুত্বপূর্ণ ও সাধারণ—এই দুই ভাগে ভাগ করেছে। এ বছর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ১৬১টি ভোটকেন্দ্রকে গুরুত্বপূর্ণ ও বাকি ১২৮টি কেন্দ্রকে সাধারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
জানা গেছে, নগরীর ৪, ৬, ৭, ১০ ও ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটকেন্দ্রগুলোকে ঝুঁকিপূর্ণ এবং ১৬, ১৯ ও ২২ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটকেন্দ্রগুলোকে ‘গুরুত্বপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
৪নং ওয়ার্ডে ছয়টি, ৬নং ওয়ার্ডে ৯টি, ১০নং ওয়ার্ডে ১২টি, ২৮নং ওয়ার্ডে ৯টি, ১৬নং ওয়ার্ডে ১০টি, ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে সাতটি এবং ২২নং ওয়ার্ডে সাতটি ভোটকেন্দ্র রয়েছে।
গত ২৫ মে খুলনা মহানগর পুলিশ কমিশনার মাসুদুর রহমান ভূঁইয়া গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বিভিন্ন বিষয় মাথায় রেখে ঝুঁকিপূর্ণ ভোটকেন্দ্রের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে ঘোষিত প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে সাতজন পুলিশ সদস্য ও ১৭ জন আনসার সদস্য এবং সাধারণ ঘোষিত ভোটকেন্দ্রে সাতজন পুলিশ সদস্য ও ১৫ জন আনসার সদস্য মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
এ ছাড়া, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে খুলনা মহানগরীতে তিন হাজার ৫৬৭ জন নিরস্ত্র পুলিশ, ৩০০ সশস্ত্র পুলিশ ও চার হাজার ৬৫৭ জন আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।